ঢাকা: সোমবার (১৯ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচে বড় উৎসব শারদীয় পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। এ পূজাকে ঘিরে জমে উঠেছে সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামাদি বিক্রির বাজার শাঁখারী পট্টি।
পুরনো ঢাকার শাঁখারী পট্টি খ্যাত-শাঁখারী বাজারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। সেখানে চলছে বেচাকেনা ধুম। কেউ মণ্ডপের জন্য কাপড় কিনছেন, কেউ প্রতিমার অলঙ্কার। কেউবা আবার উৎসবে নিজেকে মেলে ধরতে কিনছেন শাড়ি বা ধূতি ও শাখা সিঁদুর।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সপ্তমী। বুধবার (২১ অক্টোবর) অষ্টমী। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) নবমী ও শুক্রবার(২৩ অক্টোবর) দশমী।
ইতোমেধ্যে দেশের বিভিন্ন মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। পুরোদমে চলছে মঞ্চ নির্মাণ ও সাজ-সজ্জার কাজ। রাজধানীর ঢাকেশ্বরীর ঢাকা মহানগর পূজা মণ্ডপ, তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজার, সূত্রাপুর, বাংলাবাজার, শ্যামবাজারের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপের যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ শেষ পর্যায়ে।
দুর্গাপূজা প্রস্তুতির মূলকাজ, প্রতিমা তৈরি ও সাজানো, মণ্ডপ তৈরি ও সাজানো। এসব কাজের ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি এবং পূজায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রি বিক্রির বাজার এখন জমজমাট। চলছে বেচা-বিক্রির ধুম।
প্রতিমার অলংকার, প্রদীপ, ধূপ, আগরবাতি, শাড়ি, ধূতি, লাল শালু, শাখা সিঁদুরসহ নানা সরঞ্জাম কিনতে ভক্তরা ভিড় জমাচ্ছেন ঢাকার শাঁখারী বাজারে।
তাদের একজন প্রদীপ সাহা স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন শাঁখারি বাজারে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ধর্ম অনুযায়ী ১২ মাসের ১৩ পূজা হলেও দূর্গাপূজা-ই আমরা উৎসব হিসেবে উদযাপন করি। এ উপলক্ষে অফিস থেকে ছুটিও পাই। দশমীর দিনটা আপনার দিদিকে নিয়ে উপভোগ করবো। তাই, একটু কেনা-কাটা করছি আরকি!
প্রতিমার অলঙ্কার পাইকারি সরবরাহকারী ব্যবসায়ী বাসুদেব। তার দোকান সুর প্রোডাক্টস। তিনি বাংলানিউজকে জানান, ইতোমেধ্যে প্রতিমার অলঙ্কার তৈরি ও প্যাকেটিং সম্পন্ন হয়েছে। এখন দেশের বিভিন্ন বাজারেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। খুচরা বাজার জমজমাট এখন। সেখানে বেশি বেচা-বিক্রি চলছে।
পাশের দোকানি সঞ্জয়। তিনি জানালেন, এখন পূজা উপলক্ষে বেচা-বিক্রি ভালো। সারাবছর কোনো রকম ব্যবসা ধরে রাখেন। অনেক সময় লোকসানও হয়। এই একটা উৎসবেই সারা বছরের বিভিন্ন সময়ের লোকসান কাটিয়ে ওঠেন।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবচে বেশি বিক্রি হচ্ছে পূজার জন্য প্রতিমার অলঙ্কার। একসেট অলঙ্কার পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকায়। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকায়।
এছাড়াও ধূপ, আগরবাতি, শাড়ি, ধূতি, লাল শালু, শাখা সিঁদুর ও প্রদীপসহ বিভিন্ন সামগ্রিরও চাহিদা আছে।
তবে, পুরো বাজার ঘুরে কোনো ক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ক্রেতা-বিক্রেতা দু’য়ের মুখে উৎসবের আমেজ ও খুশির হাসি দেখা গেছে। যেন সবাই এ উৎসবে অভিযোগ করতে নারাজ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
এসইউজে/পিসি