ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকায় জমজমাট ‘একখণ্ড মালয়েশিয়া’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
ঢাকায় জমজমাট ‘একখণ্ড মালয়েশিয়া’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজধানী ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ের গ্র্যান্ডরুমে সুসজ্জিত স্টলগুলো দেখে যে কেউ একে মালয়েশিয়া ভেবে বিভ্রান্তিতে পড়তে পারেন। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা।

কারণ, তাদের কাঙ্ক্ষিত সব মালয়েশীয় কোম্পানি নিজেদের পণ্যের সম্ভার সাজিয়ে সেখানে বসেছেন। জানাচ্ছেন পণ্যের বর্ণনা আর ব্যবসার নানা সুযোগ-সুবিধা। মালয়েশিয়ার পণ্য পরিচিতির এ আয়োজনের নাম ‘৪র্থ শোকেস মালয়েশিয়া-২০১৫’।

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএমসিসিআই) ও ঢাকার মালয়েশিয়া দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হয়। চলবে আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আবদুল মাতলুব আহমেদ, ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার নরলিন বিনতি ওথম্যান, বিএমসিসিআই সভাপতি নাসির এ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, মালয়েশিয়া এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের পরিচালক আবু বকর কোয়াকুত্তি প্রমুখ।

আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত ও নির্ভরশীলতা আনতে বিএমসিসিআই এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে।

গ্র্যান্ডরুমে প্রদশর্নীর শুরু থেকেই মালয়েশিয়ার পণ্যের প্রতি আগ্রহী ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। প্রস্তুতকারক, রপ্তানিকারক, ট্রেডার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেবা প্রদানকারী সংস্থা, টেলিকমিউনিকেশন, ব্যাংক, বিমা, তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন, স্বাস্থ্যখাত, খাদ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরের ২২টি কোম্পানির ৫৫টি স্টলেই দর্শনার্থীদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। এদিকে প্রদর্শনীর পাশাপাশি দেশটির পণ্যের প্রতি আগ্রহী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মালয়েশিয়ান ব্যবসায়ীদের ওয়ান টু ওয়ান বৈঠকও চলছে। মেলা চলার তিনদিনই চলবে এ বৈঠকের সুযোগ।

মালয়েশিয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানি গ্রিন হাউজের স্টলে গিয়ে দেখা যায়, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি কেক, চকলেট সাজানো রয়েছে। কয়েকজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সে বিষয়ে ধারণা নিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করছেন। চিকিৎসা সেবা ও ট্যুরিজমের প্রতি আগ্রহীরা ভিড় করছেন সংশ্লিষ্ট স্টলগুলোতে। দেশটিতে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীরাও ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্টলে।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬ট‍া পর্যন্ত প্রদর্শনীর স্টলগুলো পরিদর্শন করা যাবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
জেপি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।