ভোলা: ভোলার ৯৫টি মণ্ডপে দুর্গা পূজার সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়ে এসেছে। এখন চলছে প্রতিমা রং তুলির কাজ।
এদিকে পূজার সময় জনগণের নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রশাসন নিচ্ছিন্দ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
পূজাকে ঘিরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পূজা উদযাপন কমিটি। মণ্ডপগুলো সাজসজ্জায় দশনার্থীদের আকর্ষণ বাড়াতে চলছে নানা রকমের কাজ।
দুইদিন পরেই সনাতন ধর্মবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গা পূজা। এক বছর ধরে এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা। পূজাকে ঘিরে দ্বীপজেলা ভোলার মণ্ডপে মণ্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে প্রতিমা সাজানোর কাজ।
প্রতিমার রং তুলি কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগররা। অন্যদিকে পূজাকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করতে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে পূজা উদযাপন কমিটি।
বিগত বছরের মতো এ বছরও সুন্দরভাবে পূজা উদযাপন করতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা। সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ওয়েস্টার্ন পাড়া পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শান্ত ঘোষ বলেন, গত বছরের মত এ বছরও ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান থাকছে মণ্ডপে। প্রতিদিন থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আমাদের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। প্রতিমা রং তুলির কাজ চলছে।
মদন মোহন পূজা কমিটির সভাপতি বিল্পব পাল বলেন, ১০৬ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী এ মন্দিরে জাকজমকপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ বছর খুব আকর্ষণীয়ভাবে মণ্ডপ সাজানো হয়েছে আশা করছি বিভাগে এ মণ্ডপটি প্রথম স্থান লাভ করবে।
বাপ্তা কালী মাতা মন্দির কমিটির এক সদস্য বলেন, গ্রামে হলেও এখানকার পূজা অনেক জাকজমকপূর্ণ হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো পূণ্যার্থী ও ভক্তরা পূজা দেখতে আসেন।
প্রতিমা তৈরির কারিগর খোকন পাল বলেন, ভোলা জেলায় এ বছর ১৪টি প্রতিমা তৈরি করেছি। রাত-দিন প্রতিমা তৈরি ও রং তুলির কাজ চলছে। পূজার একদিন আগেই সব কাজ শেষ হবে।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সূত্র জানায়, সদরে ২৩টি, দৌলতখানে ৬টি, বোরহনউদ্দিনে ২০টি, তজুমদ্দিনে ১২টি, লালমোহনে ১৭টি, চরফ্যাশনে ৮টি ও মনপুরা উপজেলায় ৯টিসহ মোট ৯৫টি মণ্ডপে শারদীয়া দুর্গাপূজা হচ্ছে।
এর মধ্যে জেলার ২২টি মণ্ডপ অধিক ঝূঁকিপূর্ণ রয়েছে। ঝূঁকিপূর্ণ মণ্ডপে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে পূজা উদযাপন পরিষদ।
ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে বলেন, মফস্বল উপজেলার অধিকাংশ মণ্ডপ ঝূঁকিপূর্ণ। তবে প্রশাসন ওইসব মণ্ডপে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আশা রাখছি এ বছর শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, সরকারি বরাদ্দ এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর বরাদ্দ ও পৌরসভা থেকে বেশ কিছু বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা খুব শিগগিরই মণ্ডপগুলোতে বিতরণ করা হবে।
ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, জেলায় মোট ২২টি মণ্ডপকে অধিক গুরুত্ব চিহ্নিত করে তিন স্তরের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়াও মোবাইল টিম, সাদা পোশাকের পুলিশ ও গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। আশা করা হচ্ছে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫
আরএ