ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

কামরুলের ফাঁসি দেখতে চান রাজনের বাবা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫
কামরুলের ফাঁসি দেখতে চান রাজনের বাবা ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: রাজন হত্যার প্রধান আসামি কামরুলের ফাঁসি দেখতে চান শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান আলম। তার একটাই চাওয়া, মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামের প্রকাশ্য জনতার মঞ্চে ফাঁসি দেওয়া হোক।



শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকালে সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের চাওয়ার কথা জানান আজিজুল ইসলাম। এসময় তিনি ছেলে হত্যার প্রধান আসামি কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তবে, কামরুলের সৌদি আরবে পালিয়ে যাওয়ার পেছনে যাদের হাত রয়েছে তদন্তের মাধ্যমে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান তিনি। তাছাড়া মামলায় পলাতক অন্য দুই আসামি শামীম ও পাভেলকে গ্রেফতার করার জোর দাবি করেন আজিজুর।

সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম দ্বিতীয় আদালতে হাজির করা হয় সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুলকে। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় আদালতের বিচারক আনোয়ারুল হক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা থেকে রাত ১০টার দিকে সিলেটে নিয়ে আসার পর তাকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।

ওই দিন বিকেল ৩টার দিকে কামরুলকে নিয়ে ঢাকা হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান পুলিশ কর্মকর্তারা। পরে তাকে বিমানবন্দর এপিবিএনের কাস্টোডিতে রাখা হয়।

সেখানে সংবাদ সম্মেলনের পর বিকেল ৪টার দিকে তাকে নিয়ে সড়কপথে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হয় পুলিশ। রাত ১০টার দিকে তারা সিলেট মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে এসে পৌঁছান।

কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে রোববার (১১ অক্টোবর) সৌদি আরবে যান সিলেটের তিন পুলিশ কর্মকর্তা। তারা হলেন-পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুল করিম, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ ও সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আ ফ ম নিজাম উদ্দিন।

৮ জুলাই ভোরে ‘চোর’ সন্দেহে শিশু রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নির্যাতনের ২৮ মিনিটের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশে বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর সুরঞ্জিত তালুকদার ১৬ আগস্ট ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫
এএএন/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।