মানিকগঞ্জ: রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে ঢাকা থেকে সুন্দরবন অভিমুখে বাম মোর্চার রোডমার্চকালে সমাবেশে বাধা দিয়েছে পুলিশ। পরে নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাম মোর্চার নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
এতে ২৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুশরেফা মিশু দুই হাতে আঘাত পান।
এরআগে বিকেল ৩টার দিকে বাম মোর্চার রোডমার্চ মানিকগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে। এ সময় গাড়ি থেকে তাদের নামতে বাধা দেয় পুলিশ।
পরে নেতাকর্মীরা গাড়ি থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন। এ সময় সেখানে থাকা সমাবেশের ব্যানার নিয়ে যায় ও চেয়ার ওলট-পালট করে পুলিশ।
এরপরও অবস্থান নিয়ে সেখানে সমাবেশের চেষ্টা করলে নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ থেকে পুলিশি পাহারায় মিছিল নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে যায় নেতাকর্মীরা। সেখানে সংক্ষিপ্ত পথসভা করে তারা বাসে করে রাজবাড়ীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।
মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি আশরাফুর রহমান ও জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার দের মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সমাবেশের জন্য পূর্ব অনুমতি নিতে হয়। বাম মোর্চা অনুমতি না নেওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে তাদের সমাবেশ করতে দেয়নি পুলিশ।
বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, শ্রমিক-কৃষক সমাজবাদী দল, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনসহ কয়েকটি বাম দল রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে ঢাকা থেকে সুন্দরবন অভিমুখে এ রোডমার্চ করছে। আগামী ১৮ অক্টোবর সুন্দরবন সংলগ্ন স্থানে তাদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫/আপডেটেড: ১৯০৭ ঘণ্টা
এসআর