ঢাকা: চলতি বছরের বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার নিলেন বৃহত্তম বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটির (ব্র্যাক) প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ। বিশ্ব খাদ্য উৎপাদন ও নিরন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে বণ্টনে অনন্য অবদান রাখায় তাকে এ সম্মানজনক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ডে মইন শহরে আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে ফজলে হাসান আবেদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জন রুয়ান তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। আড়াই লাখ ডলার অর্থমূল্যের এ পুরস্কারকে খাদ্য ও কৃষিখাতের নোবেল বলে মনে করা হয়।
সম্মাননা নেওয়ার পর ফজলে হাসান আবেদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এই পুরস্কার কেবল আমার একার নয়, বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে দারিদ্র্য বিমোচনে ৪৩ বছর ধরে যে ব্র্যাক কর্মীরা নিরলস কাজ করছেন তাদেরও। ’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নায়ক দরিদ্র লোকজনেরাই, বিশেষত দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াইকারী সেই নারীরা, যারা তাদের জীবনের প্রতিটি পদে বাধার সম্মুখীন হন এবং তা কাটিয়ে ওঠেন। ’
আইওয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর টেরি ব্রানস্ট্যাডের সভাপতিত্বে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিমন্ত্রী টম বিলস্যাক, বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট কেনেথ কুইন, আইওয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেটের প্রেসিডেন্ট প্যাম জোচাম, হাউসের স্পিকার লিন্দা আপমেয়ার, মালাবির সাবেক প্রেসিডেন্ট জোয়সে বান্দা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত জুলাইয়ে ফজলে হাসান আবেদকে এ পুরস্কারে মনোনীত করার ঘোষণা দেয় বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার ফাউন্ডেশন। সেসময় তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, “অনেকেই যাকে দারিদ্র্য বিমোচনে ‘বিশ্বের সবচেয়ে সবচেয়ে সফল সংস্থা বলেন, সেই ব্র্যাক গড়ে তোলার পেছেনে অনন্য অবদানের’ স্বীকৃতি হিসাবে স্যার ফজলে হাসান আবেদকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। ”
একাত্তর পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে বিপর্যস্ত মানুষকে ত্রাণ সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে ফজলে হাসান আবেদ ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্য সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধি দেয়। বর্তমানে বিশ্বের সাড়ে তের কোটি মানুষ ব্র্যাকের সেবার আওতাভুক্ত। এশিয়া, আফ্রিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ১১টি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ব্র্যাক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫
এইচএ