ঢাকা: শনিবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকায় আনন্দ র্যালি করবেন নবগঠিত ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দারা। বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকার মন্ত্রী-এমপিসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এই র্যালিতে অংশ নেবেন।
এদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন থেকে আনন্দ র্যালি শুরু হবে। র্যালিটি শাহবাগ-রমনার প্রধান প্রধান সড়কসহ জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকা প্রদক্ষিণ করে আবারও শিখা চিরন্তনে এসে শেষ হবে।
র্যালিতে সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড-পোস্টার প্রদর্শনীর পাশাপাশি ময়মনসিংহ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও থাকবে।
ঢাকায় বসবাসরত নবগঠিত বিভাগের চার জেলা নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর ও ময়মনসিংহের সকলকে এই র্যালিতে অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে আয়োজক সংগঠন ‘ময়মনসিংহ বিভাগ বাস্তবায়ন পরিষদ’।
সর্বস্তরের মানুষকে র্যালিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা’র সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, আমাদের আনন্দ র্যালিতে টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলা সংশ্লিষ্টরাও থাকবেন। কারণ, তারা ময়মনসিংহ বিভাগে যেতে না চাইলেও ময়মনসিংহ বিভাগ হোক সেটা চেয়েছেন।
র্যালি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক এবং ময়মনসিংহ বিভাগ বাস্তবায়ন পরিষদের সহ-সভাপতি ম. হামিদ বলেন, দুই দশকের দাবি পূরণ হলো। এখন আনন্দ র্যালি করে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারকে অভিনন্দন জানাবো। গত বিশ বছরে অনেক সরকারই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু ময়মনসিংহ বিভাগ বাস্তবায়ন করেনি। শেখ হাসিনার সরকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে।
তিনি আরও জানান, ‘ময়ময়নসিংহ বিভাগ বাস্তবায়ন পরিষদ’ এখন ‘ময়মনসিংহ বিভাগ উন্নয়ন পরিষদ’ হিসেবে নতুন করে কাজ শুরু করবে।
বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয়টি (টাঙ্গাইল-কিশোরগঞ্জসহ) জেলার সাংবাদিক সমিতি, জেলা সমিতি, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদ, ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতিসহ ঢাকায় ময়মনসিংহকেন্দ্রিক ১৬টি সংগঠন র্যালিতে অংশ নেবে। এছাড়া, ব্যক্তি পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও এমপিরা উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫
এইচএ/