ধুনট (বগুড়া): গ্রামীণ মেঠোপথ উন্নয়নের আগেই নির্মিত হয়েছে সেতু। কিন্তু চলাচলের জন্য কাঁচা রাস্তা উঁচু বা পাকা করা হয়নি।
ঢালু পথ বেয়ে সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত এখন খুবই কষ্টকর। এ অবস্থায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ চরম দুর্ভোগে যাতায়াত করছেন এই সেতু পথে। বিশ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি গ্রামীণ এই মেঠোপথে।
বগুড়ার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া গ্রামের পশ্চিম দিকের পাকা রাস্তা থেকে কাদাই গ্রাম পর্যন্ত গেলেই সোনাকান্দর বিলের বুকে চোখে পড়ে জনদুর্ভোগের এমন চিত্র।
স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া গ্রামের পশ্চিম দিকের পাকা রাস্তা থেকে কাদাই গ্রামের পূর্ব পাড়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার গ্রামীণ মেঠোপথ। এই সড়কের মাঝামাঝি স্থানে সোনাকান্দর বিলের অবস্থান। যুগ যুগ ধরে সোনাকান্দর বিল পারাপারের জন্য ছিল না কোনো ব্যবস্থা।
যোগাযোগ বিপর্যয়ের কারণে এই পথে সব মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। প্রশাসন থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধির কাছে এখানে সেতু নির্মাণের দাবি ওঠে বছরের পর বছর ধরে।
অবশেষে ১৯৯৫ সালে এই রাস্তার সোনাকান্দর বিল পারাপারের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে নির্মাণ করা হয় সেতু।
স্থানীয়দের অনেক প্রত্যাশিত সেতু নির্মাণ হলেও দুই পাশের রাস্তা উঁচুকরণ কিংবা সংযোগ সড়কের ব্যবস্থা করেননি কর্তৃপক্ষ। জনদুর্ভোগের সাক্ষী সেই সোনাকান্দর বিলের বুকে সেতু হলেও ভোগান্তি কমেনি একটুও। পায়ে হেঁটে যাতায়াত করা গেলেও সেতুর ওপর দিয়ে যানবহনে চলাচল করা মোটেও সম্ভব হয় না।
ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী বাংলানিউজকে জানান, দুই গ্রামের মানুষের যোগাযোগের প্রধান এ সড়কের সোনাকান্দর বিল পারাপারে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
কিন্তু জন গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা উঁচুকরন কিংবা সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তায় পানি জমে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। এ সমস্যার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
ধুনট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রিয়াজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এমন দুর্ভোগের রাস্তার বিষয়ে কেউ তাকে অবগত করেননি। তবে সরেজমিন খোঁজ-খবর নিয়ে রাস্তা উঁচুকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এই কর্মস্থলে নতুন যোগদানের কারণে তার পক্ষে সোনাকান্দর বিলের সেতু বিষয়ে কোনো কিছু নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এ ধরনের সমস্যা থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংযোগ সড়কের ব্যবস্থা করা হবে। আপাতত জনদুর্ভোগ লাঘবে কোনো কিছু করার নেই।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এই রাস্তার উন্নয়নের জন্য কয়েক বার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। কিন্ত অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় রাস্তার উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে রাস্তার উন্নয়ন কাজের বরাদ্দের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫
আরএ