ঢাকা: ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) ৯০ কোটি টাকা উত্তোলনের চেষ্টার অভিযোগে সন্দেহভাজন ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুদকের উপ-পরিচালক আবদুস সোবহান পর্যায়ক্রমে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন- হাসিবুল হাসান, মিরাজুল ইসলাম, সাব্বির রহমান, শাহাবুর রহমান বাবুল, সেলিম আহম্মেদ ও মাহবুবুর রহমান কাজল।
ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের লিগ্যাল কর্মকর্তা শেখ তারেক বাদী হয়ে গত বছরের ৮ মার্চ উক্ত ৬ জনসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন। পরে দুদক মামলার তদন্ত শুরু করে। তদন্তের প্রয়োজনে জামিনে থাকা এ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। বাকি ৫ জন কারাগারে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৮ মার্চ ব্র্যাক ব্যাংকের গুলশান শাখায় কাজী সাহাদাত হোসেনসহ দুই ব্যক্তি কানাডা প্রবাসী সাইফুল ইসলামের আমমোক্তারনামার পাশাপাশি বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে ব্যাংকে হাজির হন। তারা স্থায়ী আমানতের ৯০ কোটি টাকা তুলবেন বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানান।
ব্যাংকে আসার পর তারা প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন সময় ব্যাংকে জমা দেওয়া স্থায়ী আমানতের মানি রিসিট দেখান। তবে কাগজপত্র ও তাদের গতিবিধি দেখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়।
এ সময় ব্যাংকে আসা দু’জনকে বলা হয়, এতো টাকা দু’জন মানুষের কাছে দেওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ সময় ওই দু’জন চক্রের আরো সদস্যকে ব্যাংকে আসতে বলেন। এরপর চক্রের মোট ১১ জন সদস্য ব্যাংকে হাজির হন। এরই মধ্যে পুলিশে খবর দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
গুলশান থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতারক চক্রের ১১ সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
দুদক সূত্র জানায়, কানাডা প্রবাসী সাইফুল ইসলাম ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান শাখায় ৯০ কোটি টাকা স্থায়ী আমানত (এফডিআর) রাখেন। জালিয়াত চক্র ওই প্রবাসীর যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে এবং তা আত্মসাতের জন্য ভুয়া আমমোক্তারনামা তৈরি করে। টাকা তোলার জন্য চক্রটি কয়েক দিন আগে ব্যাংকে যোগাযোগ করে। তবে টাকা তুলতে আসলে কাগজপত্র দেখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়।
এছাড়া টাকা তুলতে পারলে কে কতো টাকার ভাগ পাবেন, তা নিয়ে প্রতারক চক্রের মধ্যে একটি চুক্তিনামাও হয়। চুক্তিনামার একটি কপি সংগ্রহ করেছে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৫
এডিএ/জেডএস