ঢাকা: প্রায় ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আবু সাঈদ খানসহ ৫ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন এ চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে।
চার্জশিটে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- আইপাওয়ার কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক মাকসুদুল লতিফ মিঠু এবং ওই প্রতিষ্ঠানের লোকাল পার্টনার ও রাজটেক লিমিটেডের এমডি মো. হাসিবুল বাসার।
অন্যদিকে মামলার তদন্তে এজাহারভুক্ত যেসব আসামিকে অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- বিটিসিএলের সাবেক পরিচালক ও বর্তমানে উপ প্রকল্প পরিচালক-২ মো. মাহফুজার রহমান, বিটিসিলের পরিচালক (পরিদর্শন) মো. মাহবুবুর রহমান, উপ-পরিচালক (বৈদেশিক সংগ্রহ) আবদুল হালিম, বিটিসিএলের সাবেক এমডি ও সদস্য (অর্থ) ড. আবু সাঈদ খান এবং টেলিটকের ডিজিএম ও বিটিসিএলের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রকৌশলী (আসিটি) এ কে এম আসাদুজ্জামান।
দুদক সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল থেকে ২০১১ সালের ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের মেসার্স আইপাওয়ার কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেড জাল-জালিয়াত আশ্রয় নিয়ে বিটিসিএলের ৪৪ কোটি ৯৬ লাখ ৯৪ হাজার ১৭৭ টাকা আত্মসাৎ করে। এ অভিযোগে ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর রাজধানীর রমনা মডেল থানায় বিটিসিএলের শীর্ষ ওই পাঁচ কর্মকর্তাসহ সাত জনকে আসামি করে মামলা করে দুদক।
দুদকের উপ-পরিচালক এস এম শাহিদুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্ত করেন।
দীর্ঘ তিন বছর তদন্ত শেষে বিটিসিএলের ওই শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি দাবি করে তাদের চার্জশিটে বাদ দিতে সুপারিশ করেন। সর্বশেষ কমিশন তা আমলে নিয়ে এ চার্জশিট অনুমোদন করে।
২০১২ সালে বৈদেশিক কল মুছে ফেলাসহ অন্যান্য দুর্নীতির মাধ্যমে বিটিসিএলের প্রায় ২০৫ কোটি টাকা রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগ সংস্থার সাবেক এমডি আবু সাঈদ খানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৫টি মামলা দায়ের করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
এডিএ/জেডএস