ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ফুটবল ছড়িয়ে পড়ুক হাটে-মাঠে-ঘাটে, সবখানে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৫
ফুটবল ছড়িয়ে পড়ুক হাটে-মাঠে-ঘাটে, সবখানে ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশে এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় খেলা ফুটবল তার হারানো ঐহিত্য ফিরে পাবে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফুটবল আরও জনপ্রিয়তা পাবে, হাটে-মাঠে-ঘাটে সবখানে ফুটবল ছড়িয়ে পড়ুক এটাই চাই।

শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) রাতে শেখ কামাল আর্ন্তজাতিক ক্লাব কাপ-২০১৫’র ফাইনাল খেলা শেষে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি খেলার মাঠ এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।



এসময় তিনি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় চট্টগ্রাম আবাহনীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, যারা রানার আপ হয়েছে তাদেরও অভিনন্দন। আর যারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাদের হাজার হাজার অভিনন্দন।

দলটি তাদের জয়ের ধারা অব্যহত রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

ইন্ডিয়ান ফুটবল জায়ান্ট ‘ইস্টবেঙ্গল’র  বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পায় চট্টগ্রাম আবাহনী।

চট্টগ্রাম আবাহনীর বিজয়কে গৌরবের বিজয় আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিজয় আমাদের জন্য গৌরবের। গোটা আবাহনী পরিবারের জন্য গৌরবের।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, এটা ফুটবলের জন্য একটা নতুন মাইলফলক সৃষ্টি হলো। এ জয়ে সারাদেশে ফুটবল খেলা আরও জনপ্রিয়তা পাবে।
ছোট থেকে যুবক, সবাই খেলাধুলায় আরো বেশি করে মনোনিবেশ করবে এমন আশাবাদও ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

খেলাধুলার প্রতি নিজের পরিবারিক ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, শেখ কামাল নিজে একজন খেলোয়াড় ছিলেন। জাতির পিতাও ফুটবল খেলতেন। আমার দাদা লুৎফর রহমানও ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন।

অফিসিয়াল কাজের পাশাপাশি খেলাটি দেখেছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলা দেখার ফাঁকে কিছু ফাইল দেখছিলাম। কিন্তু ফাইলে মনোনিবেশ করতে পারছিলাম না। ফাইলে মন বসাতে না পেরে আবার খেলা দেখা শুরু করি।

খেলা শেষ হওয়ার অনেক আগেই ভিডিও কনফারেন্সের জন্য নির্ধারিত কক্ষে চলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এখানে বসে খেলার শেষের দিকটা উপভোগ করেন।

এ সময় চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের খেলার উত্তাপ প্রধানমন্ত্রীর মধ্যেও দেখা যায়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি রুদ্ধশ্বাসে খেলা দেখেছি।

পরে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান দেখেন।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বিজয়ী খেলোয়াড়দের মধ্যে বাধভাঙা উচ্ছাস প্রকাশ পায়।

ভিডিও কনফারেন্সের সময় গণভবনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন,  শেখ কামাল স্পোর্টস কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, আবাহনীর ক্লাব পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় প্রমুখ।

চট্টগ্রামে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আজম নাছির, সংসদ সদস্য জাহিদ হাসান রাসেল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন, বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী প্রমুখ।

এদিকে, শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রত্যেক খেলোয়াড়কে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৫
এমইউএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।