রাজবাড়ী: হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে জাহেদা খাতুন। ভাগ্য পরিবর্তনে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে গিয়েছিলেন লেবাননে।
কিন্তু জাহেদার সে স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটেছে। প্রচণ্ড শারীরিক নির্যাতনে মারাত্মক আহত হয়ে জাহেদা এখন লেবাননের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানকার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চলছে গুরুতর আহত জাহেদার চিকিৎসা।
জাহেদা রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের মাটিপাড়া রায়নগর গ্রামের কেসমত মন্ডলের মেয়ে।
গত বছরের ২৫ মে গৃহকর্মী হিসেবে ৩ বছরের চুক্তিতে কালুখালী উপজেলার বাউনাড়ার কাটাবাড়িয়া গ্রামের সূর্য সরদারের ছেলে পরিবারসহ লেবাননে বসবাসকারী মো. হেলাল সরদারের সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ এক্সপোর্ট করপোরেশন এজেন্সির মাধ্যমে লেবানন যান জাহেদা।
জাহেদার ছোট ভাই মো. আব্দুস সবুর বাংলানিউজকে জানান, হঠাৎ করে গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তারা জাহেদার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। পরে নানাভাবে চেষ্টার পর হেলাল সরদারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। হেলাল সরদার তাদের জানান, জাহেদা হাসপাতালে ভর্তি।
পরে তারা লেবাননে অবস্থানরত পারভীন নামে এক নারীর মাধ্যমে জানতে পারেন জাহেদা বেশ কিছুদিন ধরে লেবাননের সাইডা সিটিতে গাবসাল হাম্মুদ নামে একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার সমস্ত শরীরে ব্যান্ডেজ করা। হাত ও কোমড়ের কয়েক জায়গায় ভেঙে গেছে। এমনকি ঠিকমতো কথা বলাও বন্ধ হয়ে গেছে।
পরে তিনি (সবুর) গত ১৬ অক্টোবর রাজবাড়ী সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ২১ অক্টোবর জাহেদার ওপর নির্যাতনের বিচার ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয় মন্ত্রী বরারর লিখিত আবেদন করেছেন তারা। এতে সুপারিশ করেছেন রাজবাড়ীর সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী।
পরিবারের লোকজনের ধারণা গৃহকর্তা ও তার পরিবারের লোকজনের মারধরে জাহেদার এ অবস্থা হয়েছে। জাহেদাকে নিয়ে বেশ উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫
এসআর