ঢাকা: রাজধানীর লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর অফিসে গুলি ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে তিন লেখক-প্রকাশককে। এ হামলার জন্য জঙ্গি বা উগ্রবাদীদের দায়ী করছেন আহতদের তিনজনই।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর মালিক-প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল বাংলানিউজকে বলেন, অনেকবার আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এটি জঙ্গি হামলা কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- ‘অবশ্যই’।
এরপরই অজ্ঞান হয়ে যান আহমেদুর রশীদ টুটুল। তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে।
গুরুতর আহত রণদীপম বসু বাংলানিউজকে জানান, ৩ থেকে ৪ জন যুবক এসে গুলি করে এবং কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এর মধ্যে একজনের হালকা দাঁড়ি ছিল। তিনি এটিকে জঙ্গি বা উগ্রবাদীদের হামলা বলে দাবি করেন।
আরেক আহত তারেক রহিম বাংলানিউজকে জানান, তার বাসা এলিফ্যান্ট রোডে। সেখান থেকে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর অফিসে আড্ডা দিতে যান। ৩ থেকে ৪ জন যুবক এসে গুলি করে এবং কুপিয়ে পালিয়ে যায়। হামলায় তিনিও গুরুতর আহত হন। তিনি বুয়েট থেকে সটফওয়্যার বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন।
তারেকের মাথায় এবং দুই হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং বাম পাঁজরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
মোহাম্মদপুর থানার অপারেশন অফিসার (পরিদর্শক) আফজাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। যে বা যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের খুঁজে বের করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। যারা হামলার শিকার হয়েছেন তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়ের ‘অবিশ্বাসের দর্শন’সহ কয়েকটি বই বের করে শুদ্ধস্বর প্রকাশনী। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অভিজিৎ রায়কে হত্যা করার পর ফেসবুকে হত্যার হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়ে টুটুল মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫
এজেডএস/এনএইচএফ/আইএ/এএসআর
** শুধু ব্লগার নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের ওপরই হামলা হচ্ছে
** লালমাটিয়ায় তিন লেখক-প্রকাশককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা