ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধের বিচার

ষড়যন্ত্র রুখতে লবিস্ট নিয়োগের পরামর্শ

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫
ষড়যন্ত্র রুখতে লবিস্ট নিয়োগের পরামর্শ ছবি : শাকিল/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সত্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠায় যুদ্ধাপরাধের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা, লবিস্ট নিয়োগ করে তা বিদেশে প্রচার করা, ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দেওয়া এবং সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন দেশের বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী, গবেষক, কূটনীতিক ও রাজনীতিবিদরা।

একই সঙ্গে অসাংবিধানিক সরকার উত্থানের ক্ষেত্র তৈরি করতে যুদ্ধাপরাধ বিচার বানচালসহ দেশের অভ্যন্তরে যেসব অপচেষ্টা করা হচ্ছে তা রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।


 
পাশাপাশি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কার্যক্রম মনিটরিং, অনুসন্ধান এবং কোনো যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে সংস্থাটির অবস্থান তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে।   
 
শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে স্পেক্ট্রা সেন্টারে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় বাস্তবায়ন ও নিরাপত্তা’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে এসব দাবি জানান বিশেষজ্ঞরা।
 
বিশেষজ্ঞরা বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করতে ট্রাইব্যুনালের রায় আপিল বিভাগে নেওয়া হচ্ছে, পুনর্বিবেচনার সুযোগ রাখা হয়েছে। এভাবে রায় কার্যকর করতে ২০ বছর লেগে যাবে। আর এ সুযোগ নিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করে বিচার বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
 
তারা বলেন, দ্রুত বিচার করে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনে সরকার লবিস্ট নিয়োগ করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে প্রচারণা করতে না পারলে প্রয়োজনে সহযোগিতা নেবে।     
 
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, জাপান স্টাডি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ এম আমিনুদ্দিন ও ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভূঁইয়া, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহবায়ক ড. এম এ হাসান, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও কূটনীতিক ওয়ালিউর রহমান, ইসলামি চিন্তাবিদ হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান, সাবেক মন্ত্রী কার্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীরবিক্রম, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) মো. আবদুর রশীদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও রাত্রির নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার। এছাড়া গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম।
 
গোলটেবিল বৈঠকের শুরতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিজিওনাল এন্টি টেরোরিস্ট রিচার্স ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনালের মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.)। বৈঠক সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা অহিদ।  
 
তুরিন আফরোজ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক মানের অনেক ওপরে উঠে এ বিচার কাজ সম্পন্ন করছি। অভিযুক্তদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি। কাউকে কাউকে জামিনও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তারা সংবাদ সম্মেলন করার সুযোগ পেয়েছেন। পৃথিবীর আর কোনো আদালতে এমন সুযোগ দেওয়া হয়নি। অথচ এ বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আর এ ষড়যন্ত্র করছে তিনটি সংগঠন ও একজন সাংবাদিক। সংগঠনগুলো হলো- অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও আল জাজিরা এবং ব্যক্তিটি হলেন- এদেশের প্রখ্যাত একজন আইনজীবীর মেয়ের জামাই।
 
ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের উদাহরণ টেনে তুরিন আফরোজ বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীর অপরাধের জন্য ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মাধ্যমে বিচার করা হয়েছিলো। সেখানে নাৎসিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ তারা আগে নাৎসি বাহিনীকে নির্মূল করেছেন, তারপর বলছেন, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না। আমরাও আগে নির্মূল করবো, তারপর মৃত্যুদণ্ড তুলে দেবো।
 
তুহিন আফরোজ বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নব্য হানাদার বাহিনী ও রাজাকারে পরিণত হয়েছে। একাত্তরে রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা যেভাবে কথা বলতো, সেই একই ভাষায় কথা বলছে সংগঠনটি। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বিচারের কথা বলে ঔদ্ধত্য প্রদর্শনও করছে।
 
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। কিন্তু তারা কতোটা স্বচ্ছ? তারা তাদের ওয়েবসাইটে ডোনারদের নাম উল্লেখ করে না। কাদের টাকায় তারা সংগঠন চালায়? তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীর অপরাধের জন্য ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মাধ্যমে বিচার করা হয়েছিলো। সেখানে নাৎসিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ তারা আগে নাৎসি বাহিনীকে নির্মূল করেছেন, তারপর বলছেন, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না। আমরাও আগে নির্মূল করবো, তারপর মৃত্যুদণ্ড তুলে দেবো।
 
অ্যামনেস্টির সমালোচনা করে তুহিন আফরোজ বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নব্য হানাদার বাহিনী ও রাজাকারে পরিণত হয়েছে। একাত্তরে রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা যেভাবে কথা বলতো, সেই একই ভাষায় কথা বলছে সংগঠনটি। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বিচারের কথা বলে ঔদ্ধত্য প্রদর্শনও করছে।
 
অ্যমনেস্টির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তুরিন বলেন, ধৃষ্ঠতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।   কিন্তু তারা কতোটা স্বচ্ছ? তারা তাদের ওয়েবসাইটে ডোনারদের নাম উল্লেখ করে না। কাদের টাকায় তারা সংগঠন চালায়?
 
শাহরিয়ার কবির
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, শুধু দুই একজন ব্যক্তির বিচার করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত দল ও সংগঠনগুলোরও বিচার দ্রুত করতে হবে।
 
জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচার হবে আর জামায়াত বসে থাকবে তা ভাবার কোনো কারণ নেই। তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। সে লবিস্ট নিয়োগের ফলেই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো সংগঠনগুলো একতরফা বক্তব্য দিচ্ছে। দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার করার দাবি জানান তিনি।
 
শাহরিয়ার বলেন, আমাদের দেশের আইনে আমাদের দেশের অপরাধীর বিচার হচ্ছে। তা নিয়ে কোনো বিদেশি সংগঠন প্রশ্ন তুলতে পারে না। এ অধিকার তাদের নেই। এটা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ।
 
অ্যামনেস্টির অবস্থান ফাঁসির বিরুদ্ধে। কিন্তু আমেরিকায় ফাঁসি হতে পারে আর আমাদের এখানে হলেই দোষ বলেও মন্তব্য করেন শাহরিয়ার কবির।
 
সরকারকে এ বিষয়ে কথা বলতে হবে- এমন দাবি করে তিনি বলেন, বিজয়ীরা যা করবে তাই মেনে নিতে হবে- এমন চিন্তা পশ্চিমারাই আমাদের মাথায় ঢুকিয়েছে। সে অনুযায়ীই আমরাও বিচার করছি।
 
নিরাপত্তা বিশ্লেষক আবদুর রশীদ
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রশীদ বলেন, বিদেশী হত্যাকাণ্ড, শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার মাধ্যমে সরকারকে অস্থিতিশীল করে অসাংধানিক সরকারের ক্ষেত্র তৈরি করা হচ্ছে। এতে সহযোগিতা করছে উন্নয়ন সহযোগীরা।
 
তিনি বলেন, দু’জন বিদেশিকে হত্যা করা হলো। হামলা করা হলো শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর। এ হামলাগুলো আর কিছু না। এগুলো প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ।
 
আবদুর রশীদ বলেন, সরকারের ভেতরে যদি অস্থিরতা সৃষ্টি করা যায়, তবে অসাংবিধানিক সরকার উত্থানের ক্ষেত্র তৈরি হয়। উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতায় এ ধরনের ক্ষেত্র তৈরিতে চেষ্টা চলছে। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে জীবনের নিরাপত্তা দিতে হবে। আর এজন্য যুদ্ধাপরাধীসহ বড় বড় অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতেই হবে।
 
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চলছে। নিরাপত্তাকে জিম্মি করে চলছে এ রাজনীতি। নীরিহ মানুষকে হত্যা করে রাজনীতির নামে এ অপরাজনীতি বন্ধ করা দরকার।
 
মেজবাহ কামাল
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে সংস্থাটির স্বচ্ছতা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল।
 
তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ডলারের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। তারা এখন মানবাধিকারের ব্যবসা করে। তাদের বিরুদ্ধে কী করা যায় তা সরকারকে খতিয়ে দেখতে হবে।

সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মেজবাহ কামাল বলেন, যুদ্ধপরাধীরা বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করছেন। সরকার কেনো লবিস্ট নিয়োগ করতে পারছে না। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধে তাদের (যুদ্ধাপরাধী) ভূমিকাকে তুলে ধরতে হবে।
 
যুদ্ধাপরাধ নিয়ে বিদেশে প্রচারণায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে মেজবাহ কামাল বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আমরা সহযোগিতা করবো। এ ধরনের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানান।
 
বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ানো বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, যে বিষয়েই শিক্ষার্থীরা পড়ুক না কোনো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়াতে হবে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্তিযুদ্ধের গবেষণা ও আলোচনা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
 
মেজবাহ কামাল জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি জানান। তিনি সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, কেনো এখনও জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না?
 
ড. এম এ হাসান
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালানোর আহ্বান জানিয়ে ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহবায়ক ড. এম এ হাসান বলেন, বিচার প্রশ্নবিদ্ধ করতে, থামিয়ে দিতেই বিতর্কিত করা হচ্ছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কার্যক্রমের অনুসন্ধান চালানো উচিত।
 
ড. হাসান বলেন, অ্যামনেস্টির নব্বইয়ের দশকে ভালো ভূমিকা ছিল। সংস্থাটির মহাসচিব আইরিন খান চলে যাওয়ার পর তারা এখন কোনো এ ভূমিকায় গেলো তার অনুসন্ধান করা দরকার। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মেজবাহ কামাল বলেন, অ্যামনেস্টি ডলারের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে, তাদের কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে হবে।    
 
যুদ্ধাপরাধ বিচার কেনো এতো প্রয়োজন তা স্পষ্ট করা দরকার উল্লেখ করে গোলটেবিল বৈঠকে ড. হাসান বলেন, আমরা বোঝাতে পারিনি ন্যায় ও সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতেই এ বিচার। এই সরকার না আসলে বিচার হতো না। আর এই সরকার না থাকলে বিচারের রায় বাস্তবায়িত হবে কি-না তা প্রশ্ন সাপেক্ষ।
 
তাই এই সরকারের প্রতিশ্রুত এ বিচার প্রশ্নবিদ্ধ করতেই অ্যামনেস্টিসহ অন্যরা এ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তারা (যুদ্ধাপরাধী পক্ষ) লবিস্ট নিয়োগ করতে পারে সরকার লবিস্ট নিয়োগ কি করতে পারে না? প্রশ্ন রাখেন ড. হাসান।         
 
ড. হাসান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের মিশনগুলোতে আলাপ-আলোচনা হয় যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং মতিউর রহমান নিজামীর পক্ষে। তারা সরকার, বিচার ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রকে কোণঠাসা করতে চায়। কোণঠাসা করতে পারলেই বিচার হবে না।
 
কূটনীতিক ওয়ালিউর রহমান
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও কূটনীতিক ওয়ালিউর রহমান বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করতে ট্রাইব্যুনালের রায় আপিল বিভাগে নেওয়া হচ্ছে, পুনর্বিবেচনার সুযোগ রাখা হয়েছে।   এভাবে রায় কার্যকর করতে ২০ বছর লেগে যাবে। আমরা বিচার শুরু করেছি শেষ করার জন্য।
 
আইনজীবী এ এম আমিনুদ্দিন
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ এম আমিনুদ্দিন বলেন, আমাদের বিচার ব্যবস্থা চলছে সংবিধান অনুযায়ী। কিন্তু অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিচার চলমান অবস্থায় তা নিয়ে বিতর্কিত কথা বলছেন, যা সংবিধান পরিপন্থী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫
ইউডি/এসএমএ/এএসআর

**অ্যামনেস্টির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান প্রয়োজন
** অসাংবিধানিক সরকার আনার চেষ্টা চলছে
** জামায়াতসহ যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের বিচার দ্রুত করতে হবে
** ডলারের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে অ্যামনেস্টি
** নব্য রাজাকারে পরিণত হয়েছে অ্যামনেস্টি
** ডলারের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে অ্যামনেস্টি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।