ঢাকা: কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক-মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে শাহবাগ আজিজ মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাগৃতির অফিস থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেব রায় বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন (আরএস) ডা. রিয়াজ মোরশেদ বাংলানিউজকে বলেন, ইসিজিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করে আমরা জানতে পারি তিনি মৃত। তখন বোঝা যায় তিনি পথেই কিংবা আরও আগেই মারা গেছেন। বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগশনের (পিবিআই) একটি টিমও ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করেছে।
নিহত দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দুপুরে টেলিভিশনে শুদ্ধস্বরের প্রকাশকের ওপর হামলার খবর পেয়ে দীপনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। ছেলের বউও যোগাযোগ করেন। কিন্তু কেউই তাকে পাচ্ছিলেন না। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওর স্ত্রীসহ আমরা এসে দেখি রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে আছে।
ছবি: পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন
তিনি আরও বলেন, অভিজিতের বই জাগৃতি থেকে প্রকাশ হয়েছে। এ কারণে হুমকি ছিল। উগ্র মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
জাগৃতি প্রকাশনীর ম্যানেজার আলাউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, তার গলার পেছনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে।
তিনি জানান, শাহবাগ আজিজ মার্কেটের তৃতীয় তলায় ১৩২ নম্বর রুমে তিনি একাই ছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা ঢুকে তার ওপর হামলা চালায়। তবে কয়জন ছিল তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
শুদ্ধস্বরের মতো জাগৃতিও মুক্তমনা লেখকদের বই প্রকাশ করতো। শনিবার দুপুরে শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর প্রকাশক-লেখক আহমেদুর রশীদ টুটুল, কবি তারেক রহিম ও লেখক-গবেষক রণদীপম বসুকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর অফিসে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, দু'টি ঘটনা একই সময় হতে পারে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সন্ধ্যায় ঢামেক হাসপাতালে আসেন। সেখানে মরদেহ দেখে যান এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫/আপডেট: ১৯০৯, ১৯৪৬
এনএইচএফ/এইচআর/আইএ/এএ
**খুনিদের ধরতে সিসি ফুটেজ সংগ্রহ