ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, যেহেতু জানতে পেরেছি অধ্যাদেশ হচ্ছে তাই, কাজ গুছিয়ে রেখেছি। কয়েকদিনের মধ্যে অধ্যাদেশ পেলে অসুবিধা হবে না।
রোববার (০১ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) মিলনায়তনে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, আমরা খুব কম নোটিশে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত থাকি। যেহেতু জানতে পেরেছি অধ্যাদেশ হচ্ছে তাই, কাজ গুছিয়ে রেখেছি। কিন্তু অধ্যাদেশ না পেলে কিছু বোঝা যাবে না যে, সেখানে কি আছে কি নাই। তাই কাজ এগিয়ে রাখা আছে। অধ্যাদেশ পেলেই যেন কুইকলি সেট করতে পারি।
তিনি বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে অধ্যাদেশ পেলে অসুবিধা হবে না। না হলে পরে যদি আরো দেরি হয়, তাহলে তখন দেখা যাবে। সেক্ষেত্রে নরমালি নির্বাচন হবে।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, আমাদের আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে। নির্বাচিত পৌরসভার প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের আগের নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা আছে। সেজন্যই আমরা তাড়াতাড়ি করছি। অধ্যাদেশ না হলে তো প্রসিডিউর আছেই। অধ্যাদেশ হলে তিনটি মেজর চেঞ্জ করতে হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচনী বিধিমাল, আচরণ বিধিমালা ও ব্যালট পেপারে চেঞ্জ আনতে হবে। এগুলো অলরেডি চিন্তা ভাবনা করে রেডি করেছি। অধ্যাধেশ হলে ওইদিকে যাবো। না হলে এক্সিটিং আইনেই হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটের দিন সাধারণ ছুটি বাতিলের জন্য কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি।
এর আগে মৃত ভোটার কর্তন, অবৈধ ভোটার ঠেকানো এবং স্মার্ট কার্ড প্রদানের বিষয়ে সহায়তার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট সিটির কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৫
ইইউডি/বিএস