নাটোর: নাটোরের লালপুরে অবৈধভাবে ১০ হাজার ২২০ কেজি মশুর ডালের বীজ মজুদ করে কৃত্রিম বীজ সংকট সৃষ্টির অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা ও মজুদকৃত বীজ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (০১ নভেম্বর) দুপুরে লালপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুর আলমের আদালত এ রায় দেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলার বিরোপাড়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে জুয়েল ইসলাম।
লালপুর উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লালপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুর আলম, র্যাপিড আ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৫ ) রাজশাহীর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বিমল কৃষ্ণ মল্লিক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম খান উপজেলার বিরোপাড়া মহল্লার একটি পরিত্যক্ত সরকারি ভবনে তল্লাশি চালিয়ে ১০ হাজার ২২০ কেজি ওজনের ১৪৬ বস্তা মশুর ডালের বীজ জব্দ করেন। যার বাজার মূল্য প্রায় ৮ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬০ টাকা।
এ সময় বিরোপাড়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে জুয়েল ইসলামকে অবৈধভাবে বীজ মজুদ করে কৃত্রিম বীজ সংকটের অভিযোগে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
লালপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুর আলম জানান, ভোক্তা অধিকার আইন, ২০০-এর ৪৫ ও ৫৬ ধারায় অভিযুক্তকে জরিমানা করা হয়েছে।
জব্দকৃত বীজ অনুমোদিত বিএডিসি ডিলারের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম খান জানান, অভিযুক্ত জুয়েল ইসলাম বিএডিসি অনুমোদিত কোনো ডিলার নয়। অবৈধভাবে তিনি এ বীজ সংগ্রহ ও মজুদ করেছেন।
উপজেলায় প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে মশুর ডাল চাষের জন্য প্রয়োজন ৩ লাখ ৬০ হাজার কেজি বীজ। এর মধ্যে ৮ থেকে ১০% হারে মাত্র ২০ হাজার কেজি বীজ বিএডিসি থেকে সরবরাহ করা হয়। যা উপজেলার ১২ জন অনুমোদিত ডিলারের মাধ্যমে কৃষদের কাছে বিক্রি করার কথা। সে অনুপাতে একজন ডিলার এক হাজার ৬২৫ কেজি করে বীজ উত্তোলন করে বিক্রি করতে পারবেন।
বাকি বীজ কৃষকরা নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করে থাকেন। অবৈধভাবে এক ব্যক্তি বীজ মজুদ করায় চরম বীজ সংকট দেখা দেয়। জব্দকৃত বীজ ডিলারের মাধ্যমে কৃষকের কাছে বিক্রির উদ্যোগে কৃষকরা উপকৃত হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৫
আরএ