ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী মেজর নূরকে ফিরিয়ে আনার নতুন উদ্যোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৫
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী মেজর নূরকে ফিরিয়ে আনার নতুন উদ্যোগ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

 ঢাকা: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মেজর নূরকে (অব.) ফিরিয়ে আনতে নতুন করে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, কানাডায় নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি নূরকে ফিরিয়ে আনতে নতুন করে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।



সোমবার (০২ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তার নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনির মধ্যে নূর কানাডায় এবং রশিদ যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে।

নূরকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, কানাডার নতুন সরকারের সঙ্গে আমরা আলোচনা করবো গুরুত্বের সঙ্গে।

আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ৫ জনের ফাঁসি হয়েছে। বাকিদের যতদিন ফিরিয়ে আনা না যাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত চেষ্টা করা হবে। আমরা যে কোনো ভাবেই হোক তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করবো।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। ইতিহাসের বর্বর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রায় ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিচার শুরু করে। আর ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
 
২০০১ এ সরকার পরিবর্তন এবং বিএনপি-জামায়াত চার দলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় কার্যকর ঝুলে যায়। উচ্চ আদালতের বিচারপতি বিব্রতবোধ করাসহ বিভিন্ন কারণে আপিলের শুনানি স্থগিত থাকায় রায় কার্যকর হয়নি।

নানা টানাপোড়েন ও প্রতিকূলতার কারণে ৯৬ সালে মামলা দায়ের করার পর বিচারকাজ শেষ করে রায় কার্যকর করতে সময় লাগে ১৩ বছর।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ২০০৯ সালের মধ্যে আসামিদের লিভ টু আপিলের শুনানি এবং সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

সর্বশেষ ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ রায় পুর্নবিবেচনার শুনানি গ্রহণ শেষে আদেশ দিলে সব আবেদন খারিজ করা হয়। এ আদেশের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত হয় ১২ জনের ফাঁসির আদেশ। পরে ২৯ জানুয়ারি গভীর রাতে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি বজলুল হুদা, মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি), সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান এবং একেএম মহিউদ্দিনকে (ল্যান্সার) ফাঁসি দিয়ে রায় কার্যকর করা হয়। অপরদিকে আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে ২০০২ সালে মারা যান।

এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় খুনি লে. কর্নেল (বরখাস্ত) আবদুর রশিদ, মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম, মেজর (অব.) নূর চৌধুরী, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন, লে. কর্নেল (অব) রাশেদ চৌধুরী ও ক্যাপ্টেন (অব) আবদুল মাজেদ বিদেশে পলাতক রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, ০২ নভেম্বর, ২০১৫
এসএমএ/জেডএফ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।