ঢাকা: লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীতে দুর্বিত্তদের হামলায় গুরুতর আহত কবি তারেক রহিমের বাম হাতটি বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। তবে ধারালো অস্ত্রের আঘাত তার মাংসপেশী ভেদ করে হাড়ে গিয়ে লাগায় এ হাতটি নিয়ে শঙ্কিত তারা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরো সার্জারি ইউনিট-১ এর ইনডোর মেডিকেল অফিসার (আইএমও) ডা. উজ্জল কুমার সাধুখা বাংলানিউজকে এই শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
এর আগে শনিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কর্ণধার ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক আহমেদুর রশিদ চৌধুরী টুটুল, কবি তারেক রহিম ও লেখক-গবেষক রণদীপম বসুকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বিত্তরা। এ ঘটনায় টুটুল ও রণদীপম শঙ্কামুক্ত থাকলেও তারেকের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
ডা. উজ্জল বলেন, তারেকের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তার বাম হাত নিয়ে চিকিৎসকরা চিন্তিত। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার হাতের হাড় ফেটে গেছে। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অর্থোপেডিক্সের চিকিৎসকরা ‘কেওয়ার’ লাগিয়ে হাড়গুলোকে সঠিক জায়গায় বসানোর চেষ্টা করছেন।
দুর্বৃত্তরা যখন হামলা চালায় তখন তারেক হাত উঁচু করে আঘাত প্রতিরোধের চেষ্টা করেন বলে ধারণা করেন এই চিকিৎসক। তিনি জানান, তারেকের বাম হাতের কনুই থেকে কবজিসহ আঙ্গুল পর্যন্ত ৬-৭টি আঘাত রয়েছে। এছাড়া তার মাথায়ও কয়েকটি আঘাত আছে। আঘাতগুলো গুরুতর হলেও এ নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। তারেকের পেটের ভেতরের গুলিটি নিয়েও তেমন কোনো ভয় নেই বলে জানালেন তিনি।
টুটুলের অবস্থা সম্পর্কে ডা. উজ্জল বলেন, ডান গাল ও কপালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হলেও তিনি শঙ্কামুক্ত রয়েছেন। তবে তিনি হাই ব্লাডপ্রেসার, ডায়েবেটিকস, হৃদরোগ ও হাইপারটেনশনের রোগী। তার ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর আগেও তার বাইপাস করা হয়েছিলো। হৃদরোগ বিভাগের চিকিৎসকসহ অন্য বিভাগের চিকিৎসকরা টুটুলকে নিয়মিত পর্যবেক্ষন করছেন।
ক্যজুয়ালিটি বিভাগের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন রণদীপম বসু। ঢামেক জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. কে এম রিয়াজ মোর্শেদ জানান, তিনি প্রথম থেকেই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন। এখন মোটামুটি সুস্থ। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৫
এজেডএস/এসজেএ/আরএইচ