বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আব্দুর রহিম ফকির নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দুই ভাইসহ তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে বাগেরহাট দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান খান এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় মামলার এজহারভুক্ত ১৯ আসামির সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ১৬ আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারক।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঝিলবুনিয়া গ্রামের মমিন উদ্দিন শেখের ছেলে সোহবান শেখ ও শাজাহান শেখ এবং একই গ্রামের মৃত মনসুর শেখের ছেলে বারেক শেখ।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৪ সালের ১৩ নভেম্বর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঝিলবুনিয়া গ্রামের আব্দুর রহিম ফকিরকে স্থানীয় কামলা বাজার থেকে আসামিরা ধরে নিয়ে যায়। পরে আসামি সোবাহান শেখ ও শাহাজান শেখের বড়িতে নিয়ে হাত-পা বেঁধে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাকে।
ঘটনায় পরদিন ১৪ নভেম্বর নিহতের বাবা চাহেব আলী ফকির ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৩০/৪০ জনকে আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মোরেলগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুস ২০০৫ সালের ৩০ মার্চ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) প্রদান করেন।
দীর্ঘ শুনানিতে বিচারক ২৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও অন্যান্য তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিচারক তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।
মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- কায়ুম শিকদার, শাজাহান হাওলাদার, শাহীদা বেগম, স্বরুপজান বিবি, মনোয়ারা বেগম, জোসনা বেগম, আফজাল শেখ, রফিক শেখ, আলমগীর হাওলাদার, শাহীন শিকদার, আকরাম শেখ, আক্কাস সরদার, সোবহান শেখ, আনছার হাওলাদার, আবজাল শেখ ও আকা শেখ। এরা সবাই মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঝিলবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটার অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আলী এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আলী আকবর।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৫/আপডেটেড: ১৩১০
এমজেড