ঢাকা: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় পার্টির নেতা যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আগামী ১৭ নভেম্বর অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর) এ দিন ধার্য করে চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
সাখাওয়াত হোসেন ছাড়া অন্য যে আট আসামি হলেন- মো. বিল্লাল হোসেন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ সরদার, মো. আজিজ সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম, মো. লুৎফর মোড়ল এবং মো. আব্দুল খালেক মোড়ল।
আসামিদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন, মো. বিল্লাল হোসেন ও মো. লুৎফর মোড়ল। বাকি ছয়জন পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ৯ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এতে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ২৬ জুলাই সাখাওয়াতসহ যশোরের কেশবপুরের ১২ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। এ অভিযোগ আমলে নেওয়ার দিন তিনজনকে অব্যাহতি দেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১৬ জুন এ মামলার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে দাখিল করেন তদন্ত সংস্থা।
সাখাওয়াতসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৯ সালে যশোরে মামলা দায়ের করা হয়। প্রসিকিউশনের আবেদনে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ২৯ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরখান থেকে সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
২০১২ সালের ১ এপ্রিল থেকে এ মামলায় তদন্ত শুরু করে গত ১৩ জুন শেষ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক খান।
মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩২ জনকে এ মামলার সাক্ষী করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৫
এএসআর