ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সবুর ও শাহ আজিজের নাম প্রত্যাহারে এক সপ্তাহ সময়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৫
সবুর ও শাহ আজিজের নাম প্রত্যাহারে এক সপ্তাহ সময়

ঢাকা: খুলনার খান এ সবুর সড়ক ও কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান মিলনায়তনের নাম প্রত্যাহারে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।



স্বাধীনতাবিরোধীদের নামে স্থাপনা নামকরণ প্রত্যাহারের নির্দেশনা চেয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির।

ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ১৪ মে ওই দুই স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া হয়।

আদেশে বলা হয়, খুলনা মহানগরীর ‘খান-এ-সবুর’ সড়কের নাম প্রত্যাহার করে আগের ‘যশোর রোড’ নামটি ব্যবহার করতে হবে এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শাহ আজিজুর রহমান’ মিলনায়তনের নাম প্রত্যাহার করতে হবে।
 
দীর্ঘ তিন বছরে আদালতের ওই নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়নি মর্মে চলতি বছরের আগস্টে আবারো আদালতে আসেন মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির। এরপর ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট এসব স্থাপনা থেকে তাদের নাম প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।

এরপরও প্রত্যাহার না হওয়ায় আবারো আবেদন করেন মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির।

আদালতে তাদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ কে রাশেদুল হক।

তিনি জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আদালতের আদেশ পাননি। এরপর আদালত বিশেষ বার্তা বাহকের মধ্যে আদেশ পাঠানোর আদেশ দেন। এবং সাত দিনের মধ্যে এ আদেশ বাস্তবায়নে খুলনা সিটি করপোরেশন এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

মুসলিম লীগ নেতা খান এ সবুর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দালাল আইনে বিচার শুরুর সময় প্রকাশিত ছয়শ’ স্বাধীনতাবিরোধী অপরাধীর নামের তালিকায় ছিলেন।

অপরদিকে জিয়াউর রহমানের সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শাহ আজিজুর রহমান। দেশ স্বাধীনের পর স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকার কারণে ১৯৭২ সালে তাকে দালাল আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়:১৪১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩,২০১৫
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।