ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন: ভোটের হারে শঙ্কা

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৫
দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন: ভোটের হারে শঙ্কা

ঢাকা: দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোট পড়ার হার কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্মকর্তারা। তাদের মতে, ব্যালট পেপার ব্যবস্থাপনায় সময় বেশি লাগার কারণেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হবে।


 
সরকার ইতোমধ্যে স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে সম্পন্ন করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। আগামী সংসদ অধিবেশনেই তা আইন আকারে পাশ করা হতে পারে। হয়েছে অধ্যাদেশও। তবে টেকনিক্যাল সমস্যায় পড়তে পারে কমিশন। কেননা, ব্যালট পেপার অনেক লম্বা আকৃতির হওয়ায় তা ভোটারদের সরবরাহকরণে বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে ভোটারদের ভোট দিতেও সময় বেশি লাগবে।
 
আগামী ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচন এবং ২৯ মার্চের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরিকল্পনা আছে ইসি’র। দেশে বর্তমানে পৌরসভার সংখ্যা ৩২৩টি আর ইউপির সংখ্যা সাড়ে চার হাজার। এক্ষেত্রে পৌরসভায় ১৩টি পদের বিরপীতে ৪০টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নিলে ব্যালট পেপারের আয়তন হবে প্রায় এক মিটারের মতো। যা ভোটকেন্দ্রে সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়বে। এতে ভোটাদের লাইনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। ইউপির ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকার নিতে পারে।

কেননা, ইউপিতে ভোটার বেশি। ফলে অনেকেই ভোট না দিয়েই চলে যেতে পারেন। অন্যদিকে, এতোগুলো পদের জন্য ব্যালটে সিল মেরে তা ভাঁজ করতেও অনেক সময় লাগবে। আবার সিল মারার পর ভাঁজ করতে গিয়ে ভোট নষ্টও হতে পারে বেশি।
 
কর্মকর্তাদের মতে, একদিকে সময় যেমন বেশি লাগবে অন্যদিকে ভোট নষ্ট হওয়ার হারও বেড়ে যাবে। বর্তমানে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট নেওয়া হয়। দলীয়ভাবে নির্বাচন হলে এ সময়ের মধ্যে ব্যালট ও ভোটার ম্যানেজমেন্ট অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
 
ইসির উপ-সচিব পর্যায়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, এক্ষেত্রে ভোটারদের সঠিকভাবে ভোটদান পদ্ধতিও শেখাতে হবে। এর জন্যও ইসির লোকবল প্রয়োজন পড়বে বেশি। তাই এখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে, ভাবতে হবে আরও।
 
নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক বাংলানিউজকে বলেন, আইন হলে সেভাবেই আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবো। বিষয়টি নিয়ে আগেভাগে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৫
ইইউডি/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।