ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৫
টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

ঢাকা: অষ্টম বেতন কাঠামোতে সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকের তিনি এ কথা জানান।



সকালে প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী বলেন, সব দাবি মানা সম্ভব নয়। তবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি যাতে সহজে হয় সেজন্য সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির আহবায়ক বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিল করলে সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়বে। ফলে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড থমকে পড়বে।

তিনি বলেন, কোনো একটি বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণ করতেই জাতীয় বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাদ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়টি সুবিবেচনা করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছি।

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিল করে বছর শেষে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের সুপারিশ করে অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো প্রণয়ন কমিটি এবং সুপারিশ করে ড. ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত পে-কমিশন।

পরে গত ৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায়ও তা অনুমোদন দেয়া হয়। নতুন এ বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড এবং টাইমস্কেল না রেখে নির্ধারিত চাকরির সময়ে ১০ এবং ১৬ বছরে স্কেল জাম্প করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী।  

এ সিদ্ধান্তে সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সিলেকশন গ্রেড এবং টাইম স্কেল বাতিলের তীব্র প্রতিবাদ করে তা পুনর্বহালের দাবি তোলেন।

এ প্রেক্ষাপটে জাতীয় উন্নয়নে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা পালনকারী প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, চিকিৎসক এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৬টি ক্যাডার ও বিভিন্ন ফাংশনাল সার্ভিসের সমন্বয়ে গঠিত প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির নেতারা বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

বৈঠকে প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে জাতীয় বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল পুনর্বহাল, উপজেলা পরিষদ সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা অফিস স্মারক সংশোধন এবং চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের দাবি জানানো হয়।

এদিকে জাতীয় বেতন কাঠামোর সরকারি নির্দেশনামা এ মাসেই জারি হওয়ার কথা রয়েছে। এ বেতন কাঠামো কার্যকর হবে চলতি বছরের পহেলা জুলাই থেকে। আর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নতুন বেতন উঠাতে পারবেন আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে। তবে পর্যায়ক্রমে তা দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৫
এসএমএ/একে/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।