ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

আওতার বাইরে সড়ক নির্মাণ দেখিয়ে অর্থ লোপাট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৫
আওতার বাইরে সড়ক নির্মাণ দেখিয়ে অর্থ লোপাট

ঢাকা: নিজেদের আওতার বাইরে সড়ক নির্মাণ কাজ দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এমনকি কাজ অনুমোদনের ক্ষেত্রে জরিপের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা করা হয়নি।

এছাড়া অনুমোদনের বাইরে অতিরিক্ত রাস্তা নির্মাণ, অর্থনৈতিক ও কারিগরি মূল্যায়ন ছাড়াই কাজের বকেয়া বিল পরিশোধ দেখিয়েও টাকা আত্মসাৎ করার তথ্য প্রমাণ রয়েছে সংসদীয় কমিটিতে।  
 
বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উত্থাপিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। কমিটি শিগগিরই এসব অনিয়ম তদন্ত করে মন্ত্রণালয়কে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেয়।
 
কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্ব বৈঠকে কমিটির সদস্য রেবেকা মমিন, শামসুল হক টুকু, মঈন উদ্দীন খান বাদল, এ কে এম মাঈদুল ইসলাম এবং রুস্তম আলী ফরাজী অংশ নেন।

সিএন্ডএজি মাসুদ আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবালসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
 
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সামগ্রিক কার্যাবলী নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় সংস্থাটির তিন বছরের (২০০৩-২০০৬) অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে সিএন্ডএজি অফিস।
 
এতে বলা হয়, সড়ক নেটওয়ার্কের সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি। সওজ বহির্ভ‍ূত সড়ক মেরামতের জন্য বিপুল অর্থ বরাদ্দ করে ব্যয় করা হয়েছে। অনুমোদিত সড়ক দৈর্ঘের চেয়ে ৪৫ কি. মি. অতিরিক্ত সড়ক জরিপ দেখিয়ে মেরামত প্রাক্কলন তৈরি করা হয়েছে, অর্থনৈতিক ও কারিগরি মূল্যায়ন করে মেরামত কাজগুলি সম্পন্ন করা হয়নি, অর্ধশত কোটি টাকার জরুরি তহবিল নিয়ে অর্থনৈতিক ও কারিগরি মূল্যায়ন বিহীন কাজের বকেয়া বিল পরিশোধ দেখানো হয়েছে।
 
প্রতিবেদনে অর্থনৈতিক ও কারিগরি মূল্যায়ন ছাড়া জরিপ তথ্যভুক্ত ৮৭০ দশমিক ৮৮ কি.মি. রাস্তা অপ্রয়োজনীয়ভাবে মেরামত দেখিয়ে টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
এছাড়া বছরের পর বছর ধরে বিধি-বহির্ভূতভাবে মেরামত কাজে বকেয়া সৃষ্টি, পিএমপি কাজে এমবিতে এন্ট্রি ছাড়া ঠিকাদারি কাজের বিল পরিশোধ, নিডস রিপোর্ট প্রত্যাহার করে জরিপবিহীন মেরামত কাজ বাস্তবায়ন করায় ন্যূনতম স্থায়িত্বকাল অর্জিত হচ্ছে না।

প্রতিবেদনে অপচয় এবং জালিয়াতির সুযোগ রাখা এবং প্রতিটি অর্থনৈতিক কোডভুক্ত বরাদ্দ ও ব্যয় হিসাবের মধ্যে বড় ধরনের গরমিল পরিলক্ষিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কমিটি রাস্তা নির্মাণের বাস্তবায়ন কাজ মূল্যায়ন, গৃহীত অনুমোদনের প্রমাণ অডিট অফিসে জমাদান, আইএমইডির মূল্যায়ন অডিট অফিসের মাধ্যমে কমিটিতে উপস্থাপন এবং হিসাবের গরমিল মন্ত্রণালয়কে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা  গ্রহণের সুপারিশ করে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৫
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।