ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনার আশ্বাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৫
এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনার আশ্বাস ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: হাওর, চর ও উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত দরিদ্র মানুষের অধিকার ও প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে জাতীয় পর্যায়ে এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নসহ ১৬ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। এই দাবি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।



বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার এ আশ্বাস দেন। বেসরকারি সংস্থা অক্সফ‍াম আয়োজিত এ সম্মেলনে সমাজভিত্তিক বেশকিছু সংগঠন অংশ নেয়।
 
অক্সফাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্নেহাল ভি সোনাজীর সভাপতিত্বে সমাপনী অধিবেশনে আরো বক্তৃতা করেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর এবং সিবিও প্রতিনিধি রাশিদা বেগম, জয়া রাণী ও কোরবান আলী।
 
ডেপুটি স্পিকার বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনধারণে সহযোগিতা করতে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সমাজভিত্তিক সংগঠনসমূহ উন্নয়নের অংশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারীর নেতৃত্ব বিকাশ ও ক্ষমতায়ন, কৃষি বিষয়ক সেবা, কারিগরি সহায়তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। কৃষকের ফসল উৎপাদন বাড়াতে ও ফসলের বিপণন নিশ্চিত করতে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে।
 
তিনি আরো বলেন, উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বিপদাপন্ন প্রান্তিক নারী পুরুষের অংশগ্রহণ ব্যতিরেকে কার্যকর ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আপনারা যে উন্নয়ন উদ্যোগ ও সফলতার দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন তা সত্যিই প্রসংশার দাবিদার। বিশেষ করে দুর্গম ও পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে তৃণমূল সমাজভিত্তিক সংগঠনসমূহের কাজের অভিজ্ঞতা ও অর্জিত সফলতা আগামীতে বিশেষ কাজে আসবে। আর পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে গৃহীত সুপারিশ জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।

এই সুপারিশ বাস্তবায়নে জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন ডেপুটি স্পিকার।

এর আগে সম্মেলনের তিনটি অধিবেশনে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে ১৬ দফা সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হয়। সুপারিশে কৃষিখাতে সংশ্লিষ্ট নারীদের কৃষক হিসেবে স্বীকৃতি ও তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, খাসজমি ও জলা-জঙ্গলে নারীদের প্রবেশাধিকার বাড়ানো, হাওর ও উপকূল অঞ্চলে স্কুলে যাতায়াতের জন্য বিশেষ নৌ ব্যবস্থা চালু এবং কৃষি উৎপাদন, পশুপালন ও মৎস্য চাষকে উৎসাহিত করতে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৫
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।