ঢাকা: দেশব্যাপী জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে সদরঘাট এলাকায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। টার্মিনাল থেকে নির্ধারিত সময়ে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে লঞ্চ।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) ভোর থেকেই এ এলাকায় সাধারণ মানুষদের মধ্যে ব্যস্ততা দেখা গেছে। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবরও পাওয়া যায়নি।
পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার মোড় থেকে শুরু করে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পর্যন্ত সর্বত্রই ছিল র্যাব ও পুলিশের উপস্থিতি। রায়সাহেব বাজার মোড়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও টার্মিনালকে কেন্দ্র করে রয়েছে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের বিপরীত দিকে রয়েছে র্যাবের চেকপোস্ট। এছাড়া পিকআপ ভ্যানে করে পুলিশ সসদ্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
সড়কে গণপরিবহনের পাশাপাশি রয়েছে রিকশা-ভ্যানের আধিক্য। রায়সাহেব বাজার মোড় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কেও বাসের জটলা দেখা গেছে। তবে অন্যদিনের তুলনায় বাসে যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক কম।
সদরঘাট থেকে গাজীপুর কোনাবাড়িগামী স্কাইলাইন পরিবহনের হেলপার কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, বুজেন না হরতাল তো, যাত্রী কম। মানুষ ভয়ে ঘর থাইক্যা বাইর হইতে চায় না। কুন সময় কি অয়, কওয়া তো যায় না।
হরতাল উপেক্ষা করে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে সপরিবারে রওনা দিয়েছেন মো. ইব্রাহীম। তিনি বলেন, বাস দিয়েই মিরপুর থেকে আসলাম কোনো ঝামেলা ছাড়াই। তারপরও মনে একটা ভয় থাকেই।
আপিলে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল রাখার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেয় জামায়াত।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
এইচআর/জেডএস