ঢাকা: রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বিজি প্রেসের পেছনের বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। প্রায় ৪০ মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।
অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে ১০টি ইউনিট কাজ করে ৫টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে বাংলানিউজকে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার মাহমুদুল হক।
এর আগে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ভজন কুমার সরকার বাংলানিউজকে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি জানান।
এদিকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত গার্মেন্ট কর্মী রাজিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আগুনে আমার দু’টি ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। ঘর থেকে কোনো কিছুই বের করতে পারিনি।
নরসিংদীর রায়পুরের বাসিন্দা রাজিয়ার পরিবার ৬ সদস্যের। ১৯ বছর ধরে তিনি এ বস্তিতে বসবাস করেন।
অপর এক ক্ষতিগ্রস্ত জামালপুরের লিপি বেগম বলেন, আগুন...আগুন, হঠাৎ একটি মেয়ের চিৎকার শুনে আমার ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বের হই। শীতের জন্য গরম কাপড়ও বের করতে পারিনি। আমার সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
জানা যায়, তেজগাঁওয়ের ওই বস্তির মালিক চারজন। তারা হলেন- রুহুল আমিন, আনোয়ার হোসেন গং, জহিরুল ইসলাম ও আব্দুস সোবহান মিয়া।
মালিক আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই আমির হোসেন বলেন, জহিরুল ইসলামের বাড়ির লাকড়ির চুলা থেকে তুলায় আগুন লাগে। এরপর আগুন বৈদ্যুতিক লাইনে লেগে দ্রুত পুরো বস্তিতে ছড়িয়ে যায়।
আগুন লাগার বিশ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসে। এর মধ্যে এলাকাবাসীর তৎপরতায় আমরা কাজ শুরু করি।
এদিকে, আগুন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা জেলা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনান্থলে ১৪টি ইউনিট পাঠানো হয়। তবে ১০টি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো হতাহত নেই। শতাধিক ঘর পুড়লেও আমাদের তৎপরতায় বিশটি ঘর বাঁচানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫/আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা/আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা
এনএ/এনএইচএফ/এসজেডএ/জেডএস
** তেজগাঁওয়ে বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট