ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বেসিক ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তাকে রিমান্ডে আনবে দুদক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
বেসিক ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তাকে রিমান্ডে আনবে দুদক ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির গ্রেপ্তার হওয়া অপসারিত তিন কর্মকর্তাকে আগামী রোববার (১৭ জানুয়ারি) থেকে রিমান্ডে আনবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকার মহানগর হাকিম তসরুজ্জামান দুই মামলায় তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদে তিন দিন করে মোট ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।



আদালতের রিমান্ড মঞ্জুরের পর দুদক আগামী সপ্তাহের রোববার থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নেয়। দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ রিমান্ড কার্যক্রম চালানো হবে।

দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে সোমবার সকালে দুই মামলায় তাদের রিমান্ড-বিষয়ক শুনানি শেষ হয়।

দুদকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, দুই মামলায় তিনজনের প্রত্যেককে সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়।

ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় করা মামলায় তদন্তের অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির সাবেক দুই উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ফজলুস সোবহান ও মো. সেলিম এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শিপার আহমেদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

ইতিমধ্যে ওই তিনজনকে বেসিক ব্যাংক বরখাস্ত করেছে। পরে বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিনই আদালতে পাঠানো হয়। দুদক তাদের রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন জানায়।

বেসিক ব্যাংকের সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে গত বছরের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর মোট ৫৬টি মামলা করে দুদক। গুলশান, পল্টন, মতিঝিল থানায় করা এসব মামলায় মোট দুই হাজার নয় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। মামলার ১২০ জন আসামির মধ্যে ২৭ জন বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা।

গ্রেপ্তার হওয়া ফজলুস সোবহান ৪৭টি, মো. সেলিম ৮টি এবং ব্যাংকটির গুলশান শাখার সাবেক শাখাপ্রধান ও ডিজিএম শিপার আহমেদ ২১টি মামলার আসামি।

** বেসিক ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা রিমান্ডে
** বেসিক ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা রিমান্ডে

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
এডিএ/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।