ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রেললাইন উপড়ে বিক্ষোভ

ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম-সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ

মাসুক হৃদয়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৬
ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম-সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: মাদ্রাসা ছাত্র ও ছাত্রলীগ-ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় এক যুবক নিহতের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেললাইন উপড়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে আগুন ধরিয়ে রেলপথ অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধরা।  
 
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টার দিকে শহরের মৌড়াইল রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম-সিলেটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।  
 
রেলওয়ে সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঘাচঙ রেলস্টেশনে, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস আজমপুর রেলস্টেশনে এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলস্টেশনে আটকা পড়েছে।   
 
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে ভাঙচুর চালিয়েছে কিছু শিক্ষার্থী। তারা স্টেশনের টিকেট কাউন্টারের জানালা, ১নং প্লাটফরমের সব দরজা-জানালা, বেশ কিছু কম্পিউটার ভাঙচুর করে। পরে, কয়েকটি কম্পিউটারে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানা গেছে।
 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাদ্রাসা ছাত্র ও ছাত্রলীগ-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে যুবক নিহতের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শহরের বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে শহরের মৌড়াইল রেলগেট এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে কয়েকশ’ মাদ্রাসা ছাত্র।  
 
পরে, সকাল পৌনে ১১টার দিকে রেললাইন উপড়ে ফেলে বিক্ষুব্ধরা। একই সঙ্গে রেল লাইনে পাকা ব্লক ও গাছের গুঁড়ি রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তারা। এক পর্যায়ে এসব গাছের গুঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে মাদ্রাসা ছাত্ররা।
 
এদিকে, সকাল থেকেই শহরের টিএ রোড, হাসপাতাল রোড, কান্দিপাড়ার মোড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে অবরোধ সৃষ্টি করে মাদ্রাসা ছাত্ররা। তারা মঠের গোড়া এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
 
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরে চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।  
 
শহরে বিজিবি মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নজরুল ইসলাম।
 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
 
সোমবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ২০ সদস্যসহ  অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকশ’ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকশ’ ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৬
এমজেড

** ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে নিহত ১, বিজিবি মোতায়েন
** ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
** ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংঘর্ষ ৪ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।