ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দুদকে মুসা বিন শমসের, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
দুদকে মুসা বিন শমসের, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হয়েছেন আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টার কিছু আগে তিনি হাজির হন।



দুদকের প্রধান কার্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ থাকায় বাইরে গাড়ি রেখে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হন মুসা। বেলা ১১টায় তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

গত ১৩ জানুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মুসা বিন শমসেরকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা থাকলেও এর একদিন আগেই তিনি ‘ডেথ ফোবিয়া’সহ একাধিক রোগ দেখিয়ে সময়ের আবেদন জানান। সময়ের আবেদন করা কপি দুদকের চেয়ারম্যান, দুই কমিশনার, অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগের মহাপরিচালক, পরিচালক এবং অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী বরাবর দেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেছিলেন,  ‘তার চাহিদা অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনমাস পেছানো সম্ভব নয়। ১০ কর্মদিবসের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দুদকে হাজির হতে হবে’।

এরপর ২৮ জানুয়ারি হাজির হতে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা তাকে নোটিশ পাঠান।

সুইস ব্যাংকে ‌‌‌অর্থ আছে কি-না তা যাচাই করতে গত ৪ জানুয়ারি ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরকে দ্বিতীয়বারের মতো তলব করে দুদক। দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে তাকে ১৩ জানুয়ারি বেলা ১১টায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। এ নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি সময়ের আবেদন জানান। এ আবেদন আমলে না নিয়ে দুদক ২৮ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হওয়ার সময় বেধে দেয়।

এর আগে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর মুসাকে প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদ করে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি। ওই জিজ্ঞাসাবাদে সুইস ব্যাংকে তার ১২ বিলিয়ন ডলার অর্থ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

এরপর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ১৯ মে মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করে দুদক। এ নোটিশের প্রেক্ষিতে ৭ জুন দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন তিনি। সম্পদ বিবরণীতেও তিনি সুইস ব্যাংকে তার ১২ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ৯৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, প্রতি ডলার ৭৮ টাকা হিসেবে) জব্দ অবস্থায় থাকার কথা উল্লেখ করেন।

সুইস ব্যাংকে ৯০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের (বাংলাদেশি প্রায় ৭০০ কোটি টাকা) অলঙ্কার জমার তথ্যও দেন তিনি। এছাড়া দেশে তার সম্পদের মধ্যে গুলশান ও বনানীতে দু’টি বাড়ি, সাভার ও গাজীপুরে এক হাজার ২০০ বিঘা জমির কথাও সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ রয়েছে।

২০১৪ সালের শেষের দিকে মুসার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর দুদক প্রথম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই জিজ্ঞাসাবাদে মুসা হীরার জুতা থেকে শুরু করে আপাদমস্তক মূল্যবান অলঙ্কারে সজ্জিত হয়ে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হন। সঙ্গে ছিল নারী-পুরুষের অর্ধ শতাধিক এক দেহরক্ষী বহর।

বৃহস্পতিবারের জিজ্ঞাসাবাদে একইভাবে এলেও মুসার সঙ্গে থাকা কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
এডিএ/জেডএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।