ঢাকা, সোমবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালে উদ্বোধন হলো গ্রীন সিটি পার্কের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
বরিশালে উদ্বোধন হলো গ্রীন সিটি পার্কের ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বরিশাল: শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নির্মিত গ্রীন সিটি পার্কের উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল নগরীর বান্দরোডের বঙ্গবন্ধু উদ্যান সংলগ্ন এ পার্কের উদ্বোধন করেন।



এর আগে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ইমতিয়াজ মাহামুদ জুয়েলের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মেয়র আহসান হাবিব কামাল বলেন, বহুতল ভবনের ফাঁকে হারিয়ে যাচ্ছে নগরীর মাঠ-ঘাট। শিশুদের মানসিক ও শারিরীক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় বিনোদন স্থলগুলো হারিয়ে যাচ্ছে।

ধনী-গরীব নয়, শুধু শিশুদের জন্য এ পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে। দুই থেকে আট বছর পর্যন্ত সব শিশুর জন্য পার্কটি উম্মুক্ত।

এ পার্কের সৌন্দর্য ও রাইডারগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব শুধু কর্পোরেশনের নয়, অভিভাবকরাই এর রক্ষণাবেক্ষণের মূল দায়িত্ব পালন করবেন।

কাউন্সিলর  হাবিবুর রহমান টিপুর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান, প্যানেল মেয়র কে এম শহীদুল্লাহ, মোশারেফ আলী খান বাদশা, তসলিমা কালাম পলি, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী খান মো. নুরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম এ মোতালেব, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান, কাউন্সিলর মীর জাহিদ, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিল মিতু আক্তারসহ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগ গ্রীন সিটি পার্কের এ প্রকল্পটি প্রায় এক একর জায়গার ওপর এক কোটি ৪২ লাখ টাকায় বাস্তবায়ন করা হয়।

এখানে শিশুদের খেলাধুলার জন্য বিভিন্ন ধরনের দোলনাসহ ১৪টি খেলনা রয়েছে, যেখানে ৭৫ শিশুর আসন বিন্যাস রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে একটি খেলার মাঠ।

১৪টি বসার বেঞ্চ, রয়েছে ১০টি ছোট-বড় ফুলের বাগান, একটি বাথরুম, প্রায় ৪শ’ অভিভাবকের আসন ব্যবস্থা, একটি বিশ্রামাগার, বাচ্চাদের জন্য দু’টি খাবার ঘর।

আলোকসজ্জায় রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া, ডিজিটাল আলোকসজ্জায় সজ্জিত পার্কের বিভিন্ন স্থান তৈরি করে দিয়েছে ভিন্ন এক জগৎ।

সীমানা প্রাচীরসহ পুরো পার্কে ৭০টি বৈদ্যুতিক বাতির সংযোজন করা হয়েছে। তবে আলোকসজ্জায় সজ্জিত ছয়টি খুঁটি এনে দিয়েছে পার্কের ভিন্নতা।

উদ্বোধনের পরপরই পার্কটি উম্মুক্ত করে দেওয়া হলে শিশুদের নিয়ে তাদের অভিভাবকরা পার্কের ভেতরে প্রবেশ করে। এবং শিশুরা বিভিন্ন রাইডে চড়ে বিনা দর্শনীতে বিনোদন উপভোগ করে।

সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ইমতিয়াজ মাহামুদ জুয়েল জানান, এ পার্কটি শিশুদের জন্য, এখানে প্রবেশে ও রাইডে চড়তে কোনো টাকার প্রয়োজন নেই। তবে এ পার্কের পরিবেশ ঠিক রাখতে কিছু নিতীমালা রয়েছে। যার মধ্যে এ পার্কের মধ্যে ধূমপান, কোনো ধরনের অশালীন কার্যকলাপ, যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা যাবেনা।

এছাড়াও পার্কের ফুলের বাগানসহ নির্দিষ্ট স্থান ও স্থাপনাগুলো যেন নষ্ট না হয়ে যায় সেজন্য নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে চলাচল করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।