ঢাকা, সোমবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সেলফি হয়ে যাক বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে....

সাব্বির আহমেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
সেলফি হয়ে যাক বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে.... ছবি : রানা/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সেলফি যুগের নন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু তিনি সকল যুগের, সকল বংলাদেশির।

একজন বাংলাদেশি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেলফিটা যদি না থাকে তবে কেমন হয়! বিশেষ করে সেলফি মেনিয়া যাদের আছে তাদের তো এমন সুযোগ মিস করারই কথা নয়।    

বাস্তবে বঙ্গবন্ধুর মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ প্যাভিলিয়নের সামনে রাখা ভাস্কর্য ঘিরে সেলফি তোলা হয়েছে লক্ষাধিক। প্রধান গেট দিয়ে প্রবেশ করেই মেলায় আসা দর্শনার্থীরা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখছেন।

৮ বছরের শিশু সাবিহা বাবার কাছ থেকে আইফোনটি চেয়ে নিয়ে নিজেই তুলছে সেলফি। সঙ্গে ফ্রেমের মধ্যে রেখেছে তার ছোটবোনকেও।

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এই সেলফি শুধু শিশুরা নয়, সব বয়সের মানুষই তুলছেন। তবে এর বড় একটা অংশ তরুণ তরুণী।

সাভার থেকে মেলায় কলেজের বান্ধবীদের ঘুরতে এসেছে আনিকা নিশাত। তার ভাষায়, ‘বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেলফি তোলাটা আসলেই একটা বড় বিষয়। অনেক সেলফির ভিড়ে এটা অসাধারণ। ’

নিশাতের বান্ধবীরা আলাদা আলাদা করে সেলফি তুলেছে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। সেলফি তোলার জন্য মেলার ব্যস্ত সময়গুলোতে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে কাউকে কাউকে।

সেলফি তুলছে ফার্মগেটের আজিজ আহমেদ। তিনি জানান, ‘অফিস আদালত, স্কুল কলেজে সবখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখা যায়। কিন্তু অনেকটা বাস্তবের মতো দাঁড়ানো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেলফি এই প্রথম তোলা হয়। ’

আর ততক্ষণে এটাকে তার ফেসবুকে প্রোফাইল ছবি হিসেবে ঠিক করে নিয়েছেন আজিজ। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে কুঁড়িটির বেশি লাইকও পড়েছে ছবিতে।

সেলফি তোলার পরই অনেক দর্শনার্থী ঘুরে দেখছেন পেছনের প্যাভিলিয়নটি। যেখানে প্রদর্শিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা স্মৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। দেয়ালে টানানো দেখা যাচ্ছে, ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি শান্তি পদক পরিয়ে দিচ্ছেন বিশ্ব শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র। ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ ঢাকা ত্যাগের প্রাক্কালে বঙ্গভবনে সদ্য-স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য ২৫ বছরের মৈত্রী ও বন্ধুত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান। আরও আছে ‘১০ জানুয়ারি, ৭২: ক্লান্ত-শ্রান্ত মুক্তিপ্রাপ্ত মুজিব ধানমণ্ডির বাসায় শয়নকক্ষে সহকর্মীদের মাঝে।

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও পারিবারিক জীবনের এমন ১৬০টি ছবি রয়েছে এ প্যাভিলিয়নে। যার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর লেখা ২টি চিঠি, বিভিন্ন সময় দেয়া ১৫টি ভাষণ ও বাণী। আর বাকিগুলো তার পারিবারিক ও রাজনৈতিক জীবনের ছবি।

আর এসবও বাদ পড়ছে না দর্শনার্থীর হাতে থাকা স্মার্টফোনের ক্যামেরায় চোখ থেকে। ফোনের সামনের ক্যামেরা খুলেই সেলফিটা তাহলে হয়ে যাক…

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
এসএ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।