ঢাকা, সোমবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কল্যাণপুরের পোড়াবস্তি পুনর্বাসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
কল্যাণপুরের পোড়াবস্তি পুনর্বাসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি ছবি: পিয়াস/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পুনর্বাসন ছাড়া কল্যাণপুরের পোড়াবস্তি উচ্ছেদ না করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বস্তিবাসীরা।
 
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হাজারের অধিক বস্তিবাসী মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এ দাবি জানান।



এ সময় তারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন। ছিন্নমূল বস্তিবাসীদের নিয়ে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ বস্তিবাসী ইউনিয়ন, বস্তিবাসী অধিকার সুরক্ষা কমিটি, এনবাস ও এনডিবাস।
 
তাদের দাবি ১৯৮৯ সালের ১৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পোড়াবস্তি পুনর্বাসনের অঙ্গীকার করেছিলেন।
 
গত ২১ জানুয়ারি কল্যাণপুরে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বেদখল জমি উদ্ধারে এই বস্তির একটি অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ওই সময় বস্তিবাসীর সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
 
বস্তির এক-চতুর্থাংশ উচ্ছেদের পর ওইদিন দুপুরেই হাইকোর্ট ওই বস্তি উচ্ছেদ কার্যক্রমে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিলে আংশিক উচ্ছেদ করে ফিরে যায় ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও পুলিশ। এর পরদিন বস্তিটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
 
হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মালিকানায় থাকা প্রায় ৫০ একর ওই জমির মধ্যে ১৫ একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই বস্তি।
 
১৯৮৯ সালে আগুন লাগায় এর নাম হয়ে যায় পোড়া বস্তি। সেখানে কয়েক হাজার ঘরে অন্তত ২০ হাজার মানুষ বসবাস করে আসছিলেন।
 
২০০৩ সালে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ওই জমি থেকে বস্তি উচ্ছেদের উদ্যোগ নিলে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের স্থগিতাদেশ আসে। এরপর আরও কয়েক দফায় উচ্ছেদের উদ্যোগ নেওয়া হলেও উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশে তা আটকে যায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
এমআইএইচ/ইএস/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।