ঢাকা: ‘ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে’- এ প্রবাদ ক’জন শিশুর জন্যইবা প্রযোজ্য! যে বয়সে বই নিয়ে পড়বে, খেলবে আর পাখির মতো উড়বে, সে বয়সে যদি খুঁজতে হয় ভাঙ্গারি! তাও আবার ময়লার ভাগাড়ে! তাহলে ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে কীভাবে?
‘ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে রেখে’ রাজধানীর ডেমরার বামইল এলাকায় এভাবেই ভাগাড়ে ভাঙ্গারি খুঁজতে দেখা গেল একদল শিশুকে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ওই ময়লার ভাগাড়ে ‘কাজে মগ্ন’ ওই শিশুদের একজন সাদিয়া।
সাদিয়ার বয়স সাড়ে চার বছর। তার বাবা সিদ্দিক মিয়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যান করে ময়লা নিয়ে আসেন। এরপর তা ফেলেন বামইলের এ ভাগাড়ে।
মা নূর নাহার ময়লা ঘেঁটে সংগ্রহ করেন ভাঙ্গারি। সাদিয়া বুঝে না বুঝে মাকে ভাঙ্গারি খুঁজতে সাহায্য করছিল।
কেবল ভাঙ্গারিই নয়, মাঝেমধ্যে ‘বড়লোকের ভবন’ থেকে আসা ভাঙা খেলনাও খুঁজতে দেখা যায় তাকে। পেলে সেই ভাঙা খেলনা নিয়ে ভাগাড়ের ওপরই ক্ষণিকের জন্য খেলতে শুরু করে সাদিয়া।
সাদিয়ার মতো অন্য শিশুর দলও ভাঙ্গারি কুড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে খুঁজছিল খেলা সামগ্রী। কিন্তু এই হেলায় যে তারা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারে সে ব্যাপারে বেখেয়াল দরিদ্র অভিভাবকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৬
এসএ/আরইউ/এইচএ/জেডএম