ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘জিনের বাদশা’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি, স্কুল শিক্ষিকা আটক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৬
‘জিনের বাদশা’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি, স্কুল শিক্ষিকা আটক ছবি: প্রতীকী

মেহেরপুর: ‘জিনের বাদশা’ পরিচয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চাঁদাবাজির অভিযোগে নওরিন ফেরদৌস নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাকে আটক করা হয়।



বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনায় গাংনী থানায় চাঁদাবাজির একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক স্কুল শিক্ষিকাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

নওরিন ফেরদৌস জেলার গাংনী উপজেলার চৌগাছা গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার আক্তারুজ্জামানের মেয়ে। তিনি তেরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষিকা এবং কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, শহরের কাথুলি মোড় এলাকার ইয়াসিন মেডিসিন কর্নারের মালিক আফতাব হোসেনের কাছ থেকে জিনের বাদশা পরিচয়ে মোবাইল ফোনে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

বিভিন্ন সময়ে একটি বিকাশ নম্বরে ৮৯ হাজার ১৭৪ টাকা পাঠান তিনি। এছাড়া, তার কাছ থেকে ২ ভরি স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।

দাবিকৃত বাকি টাকা না দিলে আফতাব আলীর শিশুপুত্রকে অপহরণ করে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল চক্রটি। শেষে বাধ্য হয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান আফতাব আলী। পরে পুলিশ মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে নওরিনকে আটক করে।

মামলার বাদী আফতাব আলী বাংলানিউজকে বলেন, জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে পুরুষ কণ্ঠে আমার কাছ থেকে প্রথমে একটি কোরআন শরিফ দাবি করা হয়। কোরআন শরিফ তাদের নির্দেশিত স্থানে রেখে আসি। কয়েকদিন পর আবারও ওই নম্বর থেকে কিছু চাল ও কয়েকশ’ টাকা দাবি করা হয়। তাদের নির্দেশিত স্থানে তাও রেখে আসি।

এরপর থেকে শুরু হয় চাঁদা দাবি। একপর্যায়ে আমার কাছ থেকে ৫/১০ হাজার টাকা করে দাবি করতে শুরু করে ‘জিনের বাদশা’। এভাবে প্রায় ৮৯ হাজার টাকা দিই তাদের। পরে, স্বর্ণালংকার ও ২ লাখ টাকা দাবি করা হয়। দাবি না পূরণ না করলে আমার শিশুপুত্রকে অপহরণ করে হত্যার হুমকি দিতে থাকে। তাই আমার স্ত্রীর ব্যবহৃত ২ ভরি সোনার গহনা তাদের নির্দেশিত স্থানে রেখে আসি। পরে, অতিষ্ট হয়ে মোবাইল ফোন নম্বরটি পুলিশের কাছে দিয়ে ঘটনা খুলে বলি।
 
ওসি আকরাম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চাঁদাবাজির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন স্কুল শিক্ষিকা। তার সঙ্গে জড়িত এ চক্রের সদস্যদের নামের তালিকাও তিনি দিয়েছেন। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। চক্রটির সব সদস্যকে আটক করার চেষ্টা চলছে।

মঙ্গলবার সকালে নওরিনকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৬     
এমজেড/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।