ঢাকা: এশিয়া অঞ্চলে ইন্টারনেটের অগ্রগতি বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটের বিস্তৃতি এ অঞ্চলের তরুণদের জন্য বিশাল সম্ভাবনার সুযোগ নিয়ে এসেছে। তবে এ সম্ভাবনার সাথে অনলাইনে শিশুদের নিরাপদে রাখার চ্যালেঞ্জ ও অনলাইনের হুমকি থেকে তাদের সুরক্ষিত রাখার গুরুত্বও সামনের দিকে চলে এসেছে।
শিক্ষার্থীদের অনলাইনে কার্যক্রম ও আচরণবিধি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝে উঠতে টেলিনর গ্রুপের গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) নিরাপদ ইন্টারনেটের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে টেলিনর গ্রুপ।
গবেষণায় বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোসহ ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সের এক হাজার ৮৯৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ইন্টারনেট বিষয়ক জ্ঞান নিয়ে জরিপ চালানো হয়।
টেলিনরের হেড অব সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি ওলা জো বলেন, শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেলিনর গ্রুপ ইন্টারনেটে সবার জন্য বিশেষত তরুণদের মধ্যে নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে নিবেদিতভাবে কাজ করছে।
গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাইবার বুলিংসহ ইন্টারনেট সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করে টেলিনর এ নিরাপদ ইন্টারনেট গবেষণা পরিচালনা করেছে। প্রভাব বিস্তারকারী আচরণের ধরণ বুঝতে, শিশুদের জন্য ইন্টারনেটকে নিরাপদ করে তুলতে এবং এ বিষয়ে কার্যকরী সমাধানের জন্য এ নিরাপদ ইন্টারনেট গবেষণা পরিচালিত হয়েছে।
গবেষণায় জানা যায়, শিশুদের ইন্টারনেটে সহজে প্রবেশাধিকারের কারণে বাবা-মায়েদের কাছে আলোচিত ও শঙ্কার একটি বিষয় হচ্ছে সাইবার বুলিং। গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৪৯ শতাংশ স্কুল শিক্ষার্থীর একই ব্যক্তির দ্বারা উৎপীড়নের শিকার হওয়া অথবা অনলাইনে উত্যক্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অথবা, তারা নাম প্রকাশ না করে অনলাইনে অন্যকে উত্যক্ত করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৬
এমআইএইচ/আরআই