কক্সবাজার: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা পাচারের অন্যতম মূলহোতা ও টেকনাফের আলোচিত মার্কিন হত্যাসহ তিন খুনের মামলার পলাতক আসামি হামজালালকে অবশেষে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক হামজালাল টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মেম্বার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং মানবপাচারকারী। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় তিনটি হত্যা মামলাসহ সাতটি মামলা রয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান বাংলানিউজকে জানান, তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি নতুন মামলা দায়ের করা হবে।
টেকনাফ থানা পুলিশ জানা গেছে, হামজালাল ইউপি সদস্য ও সরকারদলীয় নেতা পরিচয়ের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা পাচার করে আসছেন। তার ভাই বাহাদুরসহ একটি বিশাল চক্র নিয়ে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচার করে আসছিলেন। ইয়াবা পাচার করে হামজালাল অঢেল টাকার মালিকও হয়েছেন।
কালো টাকা দিয়ে তিনি কিনেছেন অন্তত ১০টির মতো নোহা গাড়ি। এসব নোহা দিয়ে ইয়াবা পাচার করা হচ্ছিল বলেও স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু ইয়াবা পাচার নয় হত্যা, মানবপাচার, ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, জবর-দখলসহ আরও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে হামজালালের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে।
হামজালালের ভূমিদস্যুতায় বাধা দেয়ায় ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর দিনদুপুরে আজিজুল হক মার্কিন নামের এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে তার সাথে ছিল নিজের বোনের স্বামী ছিদ্দিক, ছিদ্দিকের ছেলে ফরিদ আলমসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এ ছাড়া শুক্কুর হত্যা ও আবুল হোসেন নামে আরও দুজনকে হত্যা করে হামজালালের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। সর্বশেষ মার্কিন হত্যার পর দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিলেন হামজালাল। কিন্তু প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে শক্তিশালী চক্রের মাধ্যমে ইয়াবা পাচার করে আসছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে আটক হয়েছেন হামজালাল।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার বাংলানিউজকে জানান, তাকে টেকনাফ থানায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৬
টিটি/এআর/টিসি