ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বসন্ত-ভালোবাসায় চাঙ্গা ফুলের বাজার

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
বসন্ত-ভালোবাসায় চাঙ্গা ফুলের বাজার ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বিশেষ দু’দিন, একটি বসন্ত আরেকটি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বাঙালির বসন্ত উৎসবের ঢেউ এবার ভালোবাসা দিবসেও।

ভালোবাসা দিবসের একদিন আগেই বসন্তের শুরু। ঋতুরাজ বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসকে রাঙাতে কতই না আয়োজন, যার মূল অনুসঙ্গ রঙ-বেরঙের ফুল।

বসন্তের প্রথম দিন আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে (ভ্যালেন্টাইন্স ডে) সামনে রেখে এখন চাঙ্গা রাজধানীর ফুলের বাজার, শাহবাগ। শুক্রবার দিনগত রাত ১২টার পর এই ফুলের বাজারে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
 
এই দুইদিনের চাহিদার কথা বিবেচনা করে বিক্রেতারা আগে থেকেই বেশি করে ফুল নিয়ে এসেছেন। নিয়মিত ক্রেতার পাশাপাশি এসেছেন নতুন ক্রেতাও। যাদের অনেকেই মৌসুমী খুচরা ফুল বিক্রেতা।

চেরি, গাঁধা, জিপসি, গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা- এর মধ্যে বসন্তে চাহিদা বেশি হলুদ রঙের গ্লাডিওলাস, গাঁধা, জিপসি ফুলের। - জানান নারায়ণগঞ্জ দিঘলদি থেকে ফুল নিয়ে আসা শহিদুল ইসলাম।

অন্য দিন একটি পিকআপ ভ্যানে ফুল নিয়ে এলেও এদিন তারা দুইটিতে করে তিন ধরনের ফুল নিয়ে এসেছেন, চাহিদা বেশি থাকায় বেচাকেনাও বেশি হবে বলে আশা তার। এসব ফুল ব্যবসায়ীর কাছে পাইকারি দরে কিনে বিক্রি হয় এই বাজারে।

গ্লাডিওলাস প্রতি স্টিক পাঁচ টাকা, গাঁদা তিন/চার টাকা, গোলাপ পাঁচ/সাত টাকা, রজনী গন্ধা দুই/তিন টাকা করে বিক্রি হলেও এদিন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান পাইকারি বিক্রেতারা।  

ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত উপলক্ষে বিক্রির জন্য রাজধানীর উত্তরা থেকে ফুল কিনতে এসেছিলেন আব্দুল গাফফার।  

মৌসুমী এই ফুল বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন উৎসবে ফুল কিনে বিক্রি করি। এবারও রজনীগন্ধা ও কিছু গোলাপ কিনেছি।

দুই দিবস উপলক্ষে অন্যান্য দিনের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি কেনাবেচা হবে বলে আশা করছেন পাইকারি বিক্রেতা হারুন অর রশিদ।   প্রতি একশ’ সাদা গোলাপ ৩০০/৪০০ টাকায় বিক্রি হলেও এদিন এক হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রির আশা তার।

পাইকারি গোলাপ বিক্রেতা রবীন্দ্রনাথ প্রতি ৩০০ আঁটির দাম দেড় হাজার থেকে বাড়িয়ে ২১শ’ টাকা হাঁকিয়েছেন।

বসন্তের প্রথম দিন বড় ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য খিলগাঁও থেকে ফুল কিনতে এসেছিলেন মো. হাসান। দর দাম যাচাই করে বিভিন্ন পাইকারি দোকান ঘুরে তিনি জিপসি একশ’ টাকা আঁটি, গোলাপ প্রতিটি সাত টাকা ও রজনীগন্ধা কিনেছেন তিন টাকা করে। দাম তুলনামূলক বেশি হলেও কেনা ছাড়া উপায়ও নেই, বলেন হাসান।

পাইকারি বাজারে কেনাবেচার পাশাপাশি শাহবাগের খুচরা দোকানগুলোতেও চলছে বেচাকেনা, অর্ডারের কাজ এবং দিনের বেলা ফুল ও ফুলের তোড়া বিক্রির প্রস্তুতি। বসন্তে মেয়েরা মাথা ও খোপায় পরেন সাদা ও হলুদ রঙের ফুল। আর ভালোবাসা দিবসে কদর বাড়ে গোলাপের।  

মনিরসহ ফুলতলা ফ্লাওয়ার শপের তিন কর্মী বসন্তে মেয়েদের মাথায় পরার জন্য কয়েক প্রকার ফুলের রিং তৈরি করছিলেন।

মনির বলেন, অর্ডারের তিনশ’ রিং আছে, অর্ডারের বাইরেও ফুলের রিং তৈরি করা হচ্ছে।  

ভালোবাসা দিবসেও গোলাপসহ অন্যান্য ফুলের চাহিদার কথা বিবেচনা পাইকারি দোকান ঘুরে ঘুরে সতেজ ফুল কিনছেন খুচরা দোকানিরা। ফুলের কেনাবেচায় মুখর হয়ে উঠেছে শাহবাগ। খাবারের দোকানগুলোতেও চলছে রমরমা বিক্রি।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
এমআইএইচ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।