ঢাকা: বসন্তবরণ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে নানা আয়োজন। চারুকলা অনুষদের আঙিনায় গান-কবিতা ও নৃত্যের তালে তালে ঋতুরাজ বসন্তকে সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারুকলাসহ ক্যাম্পাসে বাড়ছে লোক সমাগম। তরুণীদের খোপায় বাঁধা ফুলে ফুলে আর বাসন্তী রঙ শাড়িতে রঙিন হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।
তরুণীদের কাছে ফুলের তৈরি চুলের ব্যান্ডের যোগান দিচ্ছে ফুল বিক্রেতা বিপু। বাবা কবির শাহবাগে বসে ফুলের ব্যান্ড তৈরি করছেন। আর বিপু এনে তা রমনীদের মাঝে বিক্রি করছে। আজ তার ভীষণ তাড়া, ব্যাপক ব্যস্ততা। হাতে ব্যান্ড নিয়ে এক তরুণীর কাছ থেকে ছুটে যাচ্ছে আরেক তরুণীর কাছে। প্রতিটি ব্যান্ড সে বিক্রি করছে ৫০ টাকায়।
ভোর সাড়ে ছয়টা থেকে ছুটে বেড়াচ্ছে বিপু। সকাল থেকে পেটে কিছু পড়েছে কিনা জানতে চাইলে সে বলে, ‘না, আব্বায় কইছে সকাল সকাল ফুল বেচতে। রোইদ উঠলে বেচা কইমা যাইব। ’
চলো বাইরে গিয়ে চা খেয়ে আসি- আহ্বান জানাতেই বিপুর তীব্র প্রতিবাদ, ‘না না আইজ আমার একবারে সময় নাই। দেখতাছেন না!’
বসন্তবরণে ব্যস্ততার শেষ নেই অথচ বিপু জানেই না আজ পহেলা ফাল্গুন। বলল, বসন্ত-টসন্ত জানি না। আইজ বেচা ভালো হইব। আর তাইলেই দুপুরে বাইত্তে গোস্ত নিয়া যামু আব্বায় কইছে। ’
কামরাঙ্গীর চরবাসী তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী বিপুর কাছে বসন্ত বরণের অর্থ কিছু ভিন্ন। একটু বেশি ফুল বিক্রি হলে দুপুরে জুটবে একটু ভালো খাওয়া। এটুকু চাওয়া পূরণ হলেই বসন্তের প্রথম দিনটি তার রঙিন হয়ে উঠবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬
ইউএম/এমজেএফ