ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মেট্রোরেলের আংশিক চালু হবে ২০১৯ সালে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
মেট্রোরেলের আংশিক চালু হবে ২০১৯ সালে

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ২০১৯ সালে মেট্রোরেলের আংশিক চালু হবে বলে সংসদে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই গণপরিবহনে প্রতি ঘণ্টায় উভয় দিকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।


 
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত সংসদ সদস্য বেগম সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ঢাকার আশপাশে নতুন প্রবেশ ও নির্গমন সড়ক নির্মাণ করছে। পুরাতন সড়ক সম্প্রসারণ ও মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে।
 
এছাড়াও রাজধানী ঢাকার যানজট সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রেল ক্রসিংয়ে ট্রেন চলাচলের ফলে সৃষ্ট যানজট নিরসনে ৮০৪ মিটার দীর্ঘ রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণের কথা বলেন মন্ত্রী।
 
তিনি আরও বলেন, ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ২০ দশমিক ১ কি.মি দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এলিভেটেড এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটি চালু হলে প্রতি ঘণ্টায় উভয় দিকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবেন।

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করতে নতুন কোনো ফ্লাইওভার নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নেই বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
 
প্রকল্প গ্রহণে ডাবল সেঞ্চুরি:
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামালের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিগত ২০০৯-২০১০ অর্থবছর থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ২০০টি নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে ১৪৬টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। এসব প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ছিল ২৩ হাজার ৭০ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত রয়েছে ৩৩টি প্রকল্প। অর্থাৎ প্রকল্প গ্রহণে আমরা ডাবল সেঞ্চুরি করেছি।

বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের অপর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লাইন-৩ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে হয়রত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মহাখালী-মগবাজার-রমনা-গুলিস্তান-নয়াবাজার-ঝিলমিল পর্যন্ত রুটের সমীক্ষা ও নকশা চূড়ান্ত হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ কিলোমিটার এবং প্রস্তাবিত স্টেশনের সংখ্যা ১৬টি হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে উভয় দিকে ৩০ হাজার যাত্রী প্রতি ঘণ্টায় বিশেষ উন্নতমানের বাসের মাধ্যমে গন্তব্যস্থলে যাতায়াত করতে পারবেন।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে প্রকল্পের সার্ভে, অপারেশন প্ল্যান, আইটিএস এবং ডিটেইল ডিজাইন রিপোর্ট জমা দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
এসএম/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।