ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ঝুলে আছে ২ শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ

রফিকুল আলম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
ঝুলে আছে ২ শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ধুনট (বগুড়া): আর্থিক ও শ্রমিক সংকটের কারণে বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর জিএমসি ডিগ্রি কলেজ ও খাটিয়ামারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।

প্রায় চার মাস আগে স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কাজের আওতায় লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্টের (এলজিএসপি) অর্থায়নে দু’টি শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়।



সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মথুরাপুর জিএমসি ডিগ্রি কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে নির্মাণাধীন একটি শহীদ মিনারের কাজ সত্তুর শতাংশ শেষ হয়েছে। এরপর প্রায় এক মাস ধরে শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মথুরাপুর জিএমসি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মীর আবুল কাশেম বলেন, স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কাজের আওতায় লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্টের (এলজিএসপি) অর্থায়নে শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়।

এ কাজের জন্য মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এলজিএসপি প্রকল্প থেকে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই এক লাখ টাকায় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের প্রায় সত্তুর শতাংশ শেষ হয়েছে।

মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ফিরোজ বাংলানিউজকে বলেন, জিএমসি ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে ছোট আকারের একটি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য এলজিএসপি প্রকল্প থেকে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ বড় আকারের এবং আধুনিক মানের শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এ কারণে বরাদ্দকৃত অর্থে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরো বলেন, এ প্রকল্প থেকে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

মথুরাপুর জিএমসি ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি রেজাউল ইসলাম বলেন, নির্মাণাধীন শহীদ মিনারের অবশিষ্ট কাজ কলেজের তহবিল থেকে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অল্প দিনের মধ্যে শহীদ মিনার নির্মাণ শেষ করা হবে।

এদিকে, একই প্রকল্পের আওতায় খাটিয়ামারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্ত ওই শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ প্রায় ৩০ শতাংশ শেষ হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নির্মাণ শ্রমিক সংকটের কারণে শহীদ মিনারের কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। এছাড়া দেড় লাখ টাকা দিয়ে নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না বলেও জানান তিনি।

খাটিয়ামাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণ কাজে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলে বিদ্যালয় তহবিল থেকে খরচ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।