ঢাকা: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী অপরাধে কারাভোগের পরপরই প্রার্থী হতে পারবেন না। এক্ষেত্রে তাকে অন্তত পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
সম্প্রতি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বিষয়টি আমলে নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে এ নির্দেশনা দেয় ইসি। নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন ইসির উপ-সচিব রকিব উদ্দিন মন্ডল।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হন এবং মুক্তিলাভের পর পাঁচবছর সময় অতিবাহিত না হয়, তবে তিনি ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
এছাড়া কোনো আদালত থেকে অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত হলে, দেউলিয়া হলে এবং দেউলিয়া হওয়ার পর অব্যাহতি না পেলে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব হারালে বা ত্যাগ করলেও কোনো ব্যক্তি প্রার্থী হতে পারবেন না।
অন্যদিকে প্রজাতন্ত্রের বা পরিষদের অথবা অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হলে বা জাতীয় সংসদ সদস্য কিংবা অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সদস্য হলে তিনিও নির্বাচনের অযোগ্য হবেন।
আবার প্রার্থী বা তার পরিবারের কেউ সংশ্লিষ্ট পরিষদের ঠিকাদার হলে, আর্থিক কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকলে বা সরকারের অত্যাবশ্যক কোনো দ্রব্যের ডিলার হলে, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ হলে তা প্রার্থীর অযোগ্যতা হিসেবে গণ্য করা হবে।
মামলা সংক্রান্ত নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী অপরাধের কারণে কারাভোগ করলে এবং কারাভোগের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হলেও কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না।
সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, সমবায় সমিতি ইত্যাদি হতে নৈতিক স্খলন, দুর্নীতি, অসদাচরণ ইত্যাদি অপরাধে চাকরিচ্যুত হওয়ার পাঁচ বছর অতিবাহিত না হলেও প্রার্থিতা বাতিল হবে।
এছাড়া বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে দণ্ডবিধির ১৮৯, ১৯২, ২১৩, ৩৩২, ৩৩৩ ও ৩৫৩ ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কেউ সাজাপ্রাপ্ত হলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
আগামী ২২ মার্চ দেশের ৭৩৯ পৌরসভায় প্রথম দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ছিলো এসব পৌরসভায় মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। সে সময় ইসির এসব নির্দেশনা আমলে নেবেন তারা।
এবার মোট ছয় দফায় দেশের নির্বাচন উপযোগী ইউপিগুলোতে ভোটগ্রহণ করবে ইসি। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ধাপে ৬৮৪ ইউপির ভোট হবে আগামী ৩১ মার্চ। এরপর তৃতীয় দফায় ২৩ এপ্রিল হবে ৭১১টি, চতুর্থ দফায় ৭ মে ৭২৮টি, পঞ্চম দফায় ২৮ মে ৭১৪টি এবং ষষ্ঠ দফায় ৪ জুন ৬৬০টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
ইইউডি/এএ
** চেয়ারম্যান পদে ব্যয়সীমা ৫ লাখ, সদস্য ১ লাখ টাকা