জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা মির্জা রুহুল আমিন একজন যুদ্ধাপরাধী। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় ৭১০ নম্বরে ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন দিনাজপুর-২ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমি দিনাজপুরের সংসদ সদস্য, আমি জানি মির্জা ফখরুলের বাবা মির্জা রুহুল আমি একজন যুদ্ধাপরাধী। যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় তার নাম ৭১০ নম্বরে ছিল। তার ছেলে মির্জা ফখরুল আজ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক করছেন।
এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, কীভাবে একজন যুদ্ধাপরাধী মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেলে। একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কীভাবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বির্তক করেন?
বিএনপি ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে বলে মন্তব্য করে সরকার দলীয় ওই সংসদ সদস্য আরও বলেন, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান, সেই ষড়যন্ত্র আজও চলছে।
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের সমালোচনা করে বলেন, আজ মন্ত্রীদের বিচার হয়, দুর্নীতির জন্য এমপিদের জবাবদিহি করতে হয়। আর এতো বড় একটি অন্যায় করলো মাহফুজ আনাম, তিনি ভুল স্বীকার করলেন, ভুল স্বীকার করলেই হয় না। মন্ত্রী-এমপিদের বিচার হতে পারে, তাহলে কি মাহফুজ আনামের জন্য আলাদা আইন হবে?
তার ভুল সংবাদের কারণে আজকের প্রধানমন্ত্রী তখন জেল খেটেছিলেন। এমনকি তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু দেশের মানুষ সেদিন সোচ্চার ছিল বলেই তাদের সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছিল। ব্যর্থ হয়েছিল বলেই আজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে – যোগ করেন খালিদ মাহমুদ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালেক স্বপন বলেন, আগামী ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। এজন্য বিএনপিকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আবোল-তাবোল বলে লাভ নেই নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে, প্রস্তুতি নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
এসএম/এমজেএফ/