কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত ও একজন গুলিবিদ্ধের ঘটনা ঘটে।
দুপুরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বৈঠকে বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও হত্যার ঘটনা অস্বীকার করে বিএসএফ। তবে বিজিবি স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সীমান্তে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং এ ঘটনার পর থেকে দুই বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে ১৫৭/৩(এস) সীমান্ত পিলারের কাছে নোম্যান্স ল্যান্ডের বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্ত চিলমারী বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আশরাফ এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৪৩ বিএসএফ এর অধিনস্ত জলঙ্গী কোম্পানি কমান্ডার দেবাশীষ।
প্রায় ৩০ মিনিটি ধরে চলা পতাকা বৈঠকে দু’জন বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিখোঁজ হওয়ার বিষয় বিএসএফকে জানানো হলে গুলিবর্ষণ ও তাদের হেফাজতে বাংলাদেশি থাকার কথা অস্বীকার করে বিএসএফ। তবে নিখোঁজদের খুঁজে পেলে বিজিবিকে জানানো হবে বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল আজাদ বলেন, বিএসএফের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে। তারা (বিএসএফ) বাংলাদেশি নিহত ও গুলিবর্ষণের কথা অস্বীকার করেছে।
এদিকে নিখোঁজ মামুনের ভাই শিপন বলেন, আমি নিজে চোখে দেখেছি বিএসএফ একের পর এক গুলি করছে। এ সময় মামুন ও আলিম মাটিতে পড়ে যায়।
বিএসএফ মরদেহ গুম করতে এ কথা বলছে বলে দাবি করেন তিনি।
বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও উভয় সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের টহল বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ, সোমবার রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় সীমান্তে বিএসএফ গুলিবর্ষণ করে। এরপর থেকে দুই বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজের পরিবারের সদস্যদের দাবি, গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত ও একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিএসএফ সদস্যদের হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিখোঁজ মামুন ডাঙ্গের পাড়া গ্রামের মোহ আলীর ছেলে ও আলিম একই গ্রামের কায়মদ্দিনের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬
আরএ
** দৌলতপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত