নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর মোহনায় তিনটি বাল্কহেডে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা ১৫ জন শ্রমিককে কুপিয়ে নগদ অর্থ, মোবাইল ও জাহাজের তেলসহ মূল্যবান সামগ্রী লুটে নিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টার এ ঘটনায় আহতদের নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন- সমুদ্র বিলাশ বাল্কহেডের সুকানী মো. জাকির খলিফা, ড্রাইভার নাসির আকন্দ, লস্কর মো. বেলাল, মো. শাকিল, বাবুর্চি মো. বিল্লাল, এমভি ইদ্রিস মোল্লা বাল্কহেডের মাস্টার আলামিন, ড্রাইভার শরীফ উদ্দিন, সুকানী ইমরান, লস্কর ইমরান, লস্কর নাঈম, বাবুর্চি নেছারউদ্দিন, এমভি মাওলার মহাব্বত বাল্কহেডের সুকানী কবির হোসেন, গ্রিজার সাইদুল, লস্কর বাবুল ও মিজান।
আহত সুকানী মো. জাকির খলিফা জানান, রাতে চলাচল নিষিদ্ধ থাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর মোহনায় শাহ সিমেন্টের বিপরীতে নৌযানটি নোঙর করেছিলেন।
ভোর ৫টার দিকে ১০/১৫ জনের ডাকাতদল তাদের উপর হামলা চালায়। ডাকাতদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও প্রত্যেকের হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র। এর মধ্যে দু’জন ছিল মুখোশধারী। তারা আমাদের কুপিয়ে সঙ্গে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা, ৬টি মোবাইল, ২০০ লিটার জাহাজের তেলসহ মূল্যবান সামগ্রী লুটে নিয়েছে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুবজ শিকদার বলেন, শীতলক্ষ্যা, মেঘনা ও ধলেশ্বরী এই তিন নদীর মোহনা চর কিশোরগঞ্জ ও চর হোগলা এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতেই দীর্ঘদিন ধরে নৌ চাঁদাবাজরা হামলা চালিয়ে নৌযান শ্রমিকদের সর্বস্ব লুটে নেওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তিন নদীর মোহনাসহ ১২ পয়েন্টে বালুমহালের ইজারার টোকেন কাটার নামে নৌ চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বন্ধের দাবিতে এবং নৌ ডাকাতি ও সন্ত্রাস বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে নৌ পুলিশের ডিআইজি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ছাড়াও ৭ দফা দাবিতে আমরা কর্মবিরতি পালন করি।
নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. শাহআলম জানান, নৌযান শ্রমিকদের কুপিয়ে ডাকাতির বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬
জেডএস