ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

আইএফআইসি ব্যাংকের ডিএমডিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬
আইএফআইসি ব্যাংকের ডিএমডিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

ঢাকা: ভুয়া এলসির মাধ্যমে মালামাল আমদানির নামে ভারতে অর্থ পাচারের অভিযোগ, তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় আইএফআইসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ফরিদ উদ্দিন আল মাহমুদসহ পাঁজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) খুলনা জজ আদালতে দুদকের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হুদা এ চার্জশিট পেশ করেন।



চার্জশিটের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে দুদকের এ তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে এ জালিয়াতি হয়। ওই সময়ে আইএফআইসি ব্যাংকের বর্তমান এ ডিএমডি ব্যাংকটির খুলনা শাখার ব্যবস্থাপক ছিলেন।

দুদক সূত্র জানায়, অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন দুদকের সহকারি পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ। মামলায় তখন খুলনার মেসার্স শেখ ব্রাদার্সের কর্ণধার হাফিজুর রহমানকে আসামি করা হয়েছিলো। মামলা পরবর্তী তদন্তে এ অর্থ পাচারের সঙ্গে আইএফআইসি ব্যাংকের ডিএমডিসহ দুই কর্মকর্তা, দু’টি ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্সির দুইজন মালিক ও মামলার আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে চার্জশিটের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

দুদকের চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- আইএফআইসি ব্যাংকের খুলনা শাখার ব্যবস্থাপক (বর্তমানে ডিএমডি) ফরিদ উদ্দিন আলম মাহমুদ, ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা (বর্তমানে বেসরকারি সাউথ বাংলা ব্যাংকের এসভিপি) শেখ রেবেকা রহমান, আমদানিকারক হাফিজুর রহমান, ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ড এজেন্সি (সিঅ্যান্ডএফ) মেসার্স সুলতান এন্টার প্রাইজের কর্ণধার সুলতান আহমেদ, রুপালী এজেন্সি’র কর্ণধার নজরুল ইসলাম।

তদন্তে দেখা যায়, হাফিজুর রহমান তার খুলনার শেখ ব্রাদাসের নামে সাতটি এলসির মাধ্যমে ভারত থেকে মালামাল আমদানি দেখান। এ এলসিগুলোর মাধ্যমে ব্যাংকের কর্মকর্তা ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্সির কর্ণধারদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে আমদানিকারক হাফিজুর ব্যাংকিং চ্যানেলে বাংলাদেশি টাকায় ৮৮ লাখ পাঁচ হাজার ৭শ ৫০ টাকা পাচার করেন। ভুয়া আমদানির নামে এ অর্থ পাচার করা হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদকের তদন্তে বলা হয়, যদি মালামাল আমদানি হতো তাহলে সরকার ৪৮ লাখ ৯২ হাজার ৪শ ১১ টাকা রাজস্ব পেতো। যেহেতু মালামাল আমদানি হয়নি তাই মুদ্রা পাচার ও রাজস্ব আয়সহ মোট এক কোটি ৩৬ লাখ ৯৮ হাজার ১শ ৬১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬
এডিএ/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।