ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেট ইউমেন্স হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬
সিলেট ইউমেন্স হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা

সিলেট: চিকিৎসায় অবহেলায় অঙ্গহানির অভিযোগ এনে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেটের যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন স্যাসেলাইট টিভি চ্যানেল বাংলাভিশন সিলেট অফিসের স্টাফ ক্যামেরাপার্সন বদরুর রহমান বাবর।



মামলায় আসামি করা হয়েছে- উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. ওয়ালী তছর উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজম্মিল আলী (সানু), পরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. মোজাম্মেল, অর্থপেডিক্স ও সার্জারি বিভাগের রেজিস্টার ডা. জাবের আহমদ, অর্থপেডিক্স সার্জারী বিভাগের এমও ডা. তানভীর আহমদ চৌধুরী, ইন্টার্ন শাফিনাজ মোস্তফা, অর্থপেডিক্স ও সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. কাজী মো. সেলিম, অর্থপেডিক্স ও সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মাহমুদ হাসান, ব্রাদার তারেক।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়, তার শিশুপুত্র সাফির চিকিৎসায় অবহেলা করে আঙ্গুলে ‘গ্যাংরিন’ হওয়ায় মৃত্যু আশঙ্কা সৃষ্টি করার জন্য ২৫ লাখ টাকা, গ্যাংরিন হওয়ায় আঙ্গুল কেটে ফেলার ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৫ লাখ টাকাসহ দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসাসহ আনুসাঙ্গিক খরচসহ ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

চিকিৎসা চলমান থাকায় ক্ষতিপূরণের পরিমান পরবর্তীতে আরো বাড়তে পারে বলে মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

গত বছরের ১৮ জানুয়ারি বাসার দরজার হেজবল্টে চাপ লেগে আঘাতপ্রাপ্ত হয় সাংবাদিক বাবরের ছেলে সাফি। ডানহাতের তর্জনিতে রক্তক্ষরণ শুরু হলে বাসার পার্শ্ববর্তী সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ সময় জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত নার্স সাফির আঙ্গুলের গোড়ায় একটি রাবার ব্যান্ড বেধে আঘাতপ্রাপ্ত স্থান পরিষ্কার করেন। পরবর্তীতে রাবার ব্যান্ড না খুলে ব্যান্ডেজ করে দেওয়ায় আঙ্গুলে ক্ষত সৃষ্টি হয়। যা পরবর্তীতে ‘গ্যাংরিন’ রোগ হয় এবং শিশু সাফির ডান হাতের আঙ্গল কেটে ফেলা হয়।

মামলার বাদীপক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ তাজ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মো. আবুল হাসান, অ্যাডভোকেট সজল কুমার রায়, অ্যাডভোকেট সরওয়ার হোসেন খসরু, অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শহিদুল হক লাহিন, অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক জাবেদ।

এ ব্যাপারে মামলার বাদি বদরুর রহমান বাবর জানান, চিকিৎসকদের অবহেলার কারণে আমার ছেলে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছে না। সে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারবে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার জন্যই আমার ছেলের এ পরিণতি।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫
এনইউ/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।