রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর, দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. ইউনুস হত্যা মামলার পুন:বিচারের রায়ে দুই জেএমবি ক্যাডারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানা করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড।
রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম আহমেদ খলিলুর রহমান বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- সাতক্ষীরা জেলার ইটাগাছা গ্রামের আব্দুর রহমান মাস্টারের ছেলে জেএমবি ক্যাডার শফিউল্লা ওরফে তারেক ওরফে আবুল কালাম এবং নওগাঁর সারকডাঙ্গা এলাকার হাজি আব্দুস সাত্তারের ছেলে শহিদুল্লাহ ওরফে মাহবুব। রায় ঘোষণাকালে তারা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল।
রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু জানান, এর আগে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় প্রদান করে ট্রাইব্যুনাল।
রায়ে জেএমবি ক্যাডার মামলার প্রধান দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এছাড়াও এ মামলার অপর ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয় আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করে। পরে মামলাটি পুন:বিচারের জন্য রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু জানান, মামলাটি ট্রাইব্যুনালে আসার পর প্রত্যক্ষদর্শী দুইজন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। পরে আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ভোরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকার নিজ বাসা থেকে ৩০০ গজ দূরে আসামিরা ছুরিকাঘাতে ড. ইউনুসকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ড. ইউনুসের ভাই আব্দুল হালিম বাদী হয়ে ওই দিনই মহানগরীর মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তদন্ত শেষে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে মতিহার থানা পুলিশ।
২০০৯ সালের ২৫ আগস্ট মামলাটি বিচারের জন্য রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসে। তখন এই মামলায় ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬
এসএস/আরআই