খুলনা: মোটরসাইকেল একটি বহুল ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় যান। সব বয়সীদের কাছে অত্যন্ত সমাদৃত এ যানটি।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা মহানগরীর গল্লামারী বুড়ো মৌলভীর দরগা এলাকার বাসিন্দা আল-আমিনের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। এসময় তিনি জানান, শখের বসে তিনি মোটরসাইকেলের গতিসম্পন্ন এ সাইকেলটি তৈরি করেছেন। সাইকেলটি তৈরিতে তার সময় লেগেছে প্রায় ৩ মাস।
আল-আমিনের এ সাইকেলের সামনে রয়েছে এসএস’র একটি বক্স। যাতে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস রাখা যায়। এছাড়া রয়েছে মোটরসাইকেলের মতো হর্ন। সাইকেলের পেছনে বসার জন্য রয়েছে এসএস রডের তৈরি ক্যারিয়ার। তাছাড়া দু’চাকার মাঝে রয়েছে ১২ ভোল্টের দু’টি ব্যাটারি।
সাইকেলটি তৈরিতে কি কি ব্যবহার করেছেন জানতে চাইলে আল-আমিন বলেন, এসএস পাইপ, ১২ ভোল্টের দু’টি ব্যাটারি, রিকশা-ভ্যানের স্পোক-টায়ার-টিউব।
সাইকেলটির বিশেষত্বের বিষয়ে আল-আমিন বলেন, আমার এ সাইকেলে মোটরসাইকেলের গতি পাওয়া যাবে। ঘণ্টায় ৩০-৩৫ কি.মি. বেগে চলবে এটি। একবার চার্জ দিলে ১০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা যায়। সে হিসেবে (তার এলাকার) পিডিবির এক ইউনিট বিদ্যুতে খরচ হয় মাত্র ৫ টাকা। ৫ টাকায় ১০০ কিলোমিটার পথ চলা কোনো বাহনেই সম্ভব নয় বলে জানান আল-আমিন। এ ধরনের বাহন খুলনায় প্রথম দাবি তার।
‘পঙ্খিরাজ’ ঘিরে এলাকার মানুষজনের আগ্রহের কমতি নেই জানিয়ে আল-আমিন বলেন, সাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হলে উৎসুক জনতা আমাকে ঘিরে ধরে। জানতে চায় কোথা থেকে কিনেছেন, তৈরি করতে কত খরচ, এমন নানা প্রশ্ন।
সাইকেল তৈরিতে কত খরচ হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৪০ হাজার টাকা।
বাণিজ্যিকভাবে এ সাইকেল তৈরির ইচ্ছা আছে কি-না প্রশ্নের উত্তরে আল-আমিন বলেন, মানুষ চাইলে অবশ্যই ইচ্ছা আছে। বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করলে খরচ অনেক কম হবে বলে জানান তিনি।
৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা আল-আমিন পেশায় একজন মুদি দোকানদার। রয়েছে দুই সন্তান। তার বাবার নাম আব্দুস সাত্তার মোড়ল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬
এমআরএম/জেডএস